শেষ আপডেট: 17th September 2024 00:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে সরকারের বৈঠক শেষ হয় রাত পৌনে ন’টা নাগাদ। সেই বৈঠক শেষের প্রায় ৩ ঘণ্টা পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা সহ ডিসি নর্থকেও সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিগুলির অন্যতম ছিল এগুলিই।
আরজি করের ঘটনার তদন্তের বিষয়টি আর রাজ্যের এক্তিয়ারে নেই। হাইকোর্টের নির্দেশে তা পুরোটাই চলে গেছে সিবিআইয়ের হাতে। আবার সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে অঙ্গীকার করেছে। হাসপাতালে ভয়মুক্ত পরিবেশ কায়েম করার ব্যাপারেও সরকার জুনিয়র ডাক্তারদের দাবির সঙ্গে গোড়া থেকে সহমত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে জুনিয়র ডাক্তারদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে তিন দফার নিষ্পত্তি হয়ে গেছিল আগেই।
মূল আড়ষ্টতা ছিল দুটি বিষয়ে। তা হল, কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে সরানোর প্রস্তাব এবং স্বাস্থ্য সচিব, ডিরেক্টর হেল্থ সার্ভিসেস ও ডিরেক্টর মেডিকেল এডুকেশন পদে এখন যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের সরানো। বর্তমানে স্বাস্থ্য সচিব হলেন নারায়ণ স্বরূপ নিগম। ডিরেক্টর মেডিকেল এডুকেশন হলেন ডাঃ কৌস্তভ নায়েক এবং আর ডিরেক্টর হেল্থ সার্ভিসেস পদে রয়েছেন ডাঃ অজয় চক্রবর্তী। এই দুই দাবি নিয়ে সরকার কী অবস্থান নেয় মূল কৌতূহল তা নিয়েই ছিল। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানান, তাঁদের বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জুনিয়র ডাক্তারদের সিংহভাগ দাবিই মেনে নিয়েছে রাজ্য, এমনটাই জানান মুখ্যমন্ত্রী।
রাত পোহালেই সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি হবে। তার আগে অচলাবস্থা কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাাপাশি আন্দোলতরত জুনিয়র শিক্ষকদের একটা বড় অংশ যে আগ্রহী তা ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছিল। এর আগে গত শনিবার আচমকাই স্বাস্থ্যভবনে জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্না মঞ্চে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে দাঁড়িয়েই তিনি বলেছিলেন, "মুখ্যমন্ত্রী নই, বড়দিদি হয়ে এসেছি। একজন সমব্যাথী হিসেবেই কথা বলতে এসেছি।" আলোচনার মাধ্যমে দাবি মেটানোর আশ্বাসও দেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এরপপরই বরফ গলতে শুরু করে। সোমবারের বৈঠকের পর জুনিয়র ডাক্তাররাও জানান আলোচনা সদর্থক হয়েছে। যদিও কিছু দাবি মানা এখনও বাকি।