শেষ আপডেট: 11th August 2024 20:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজিকর হাসপাতালে ছাত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় কলকাতার একজন এসিপিকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। ওই এসিপি বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন।
রবিবার আরজিকরের আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠকের পর একথা জানালেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। একই সঙ্গে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের দাবি, "আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পুলিশি তদন্তে তাঁরা সন্তুষ্ট।"
পুলিশ কমিশনার বলেন, "আরজিকর নিয়ে নানারকম গুজব ছড়াচ্ছে। বলা হচ্ছে, অনেককে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। এও বলা হচ্ছে, ২,৩ জনের সিমেন্স পাওয়া গেছে। আমি সকলকে বলব, কারও কাছে কোনও তথ্য থাকলে বা অভিযোগ থাকলে সরাসরি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।"
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আরজিকরের চারতলার সেমিনার হলে নৃশংসভাবে খুন হন মেডিক্যালের ছাত্রী। ওই ঘটনায় হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ, মৃত ছাত্রীর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ-সহ একাধিক দাবি জানিয়েছেন আন্দোলকারীরা। পুলিশ কমিশনার জানান, হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ, মৃত ছাত্রীর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আন্দোলনকারীদের দেখানো হবে।
ডিউটিরত অবস্থায় হাসপাতালেই ডাক্তারি ছাত্রী খুনের ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে মেডিক্যালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কলকাতার সহকারী পুলিশ কমিশনারকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিনীত। একই সঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশের তরফে একটি টোল ফ্রি নম্বর দেওয়া হবে। এছাড়াও কলকাতা পুলিশের ওয়েবসাইট রয়েছে। আরজিকরে ছাত্রীকে নৃশংস হত্যার ঘটনায় কারও কাছে কোনও তথ্য থাকলে তাঁরা ফোন করে, ইমেেল করে বা সশরীরে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে দেখা করেও জানাতে পারেন।
সিপি এও বলেন, "কাউকে আড়াল করার প্রশ্নই ওঠে না। কলকাতা পুলিশ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করছে।" প্রসঙ্গত, এ ব্যাপারে শনিবারের সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিনীত বলেছিলেন, অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়েছেন, দ্রুত বিচারের জন্য ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে তদন্ত হবে। প্রয়োজনে অপরাধীর ফাঁসিরও দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
এ ব্যাপারে আন্দোলনকারীদের তরফে বলা হচ্ছে, পুলিশের সঙ্গে আলোচনায় তাঁরা একাধিক দাবি জানিয়েছেন। তাঁর মধ্যে অপরাধীর কঠোরতম শাস্তির দাবিও রয়েছে। যতক্ষণ না হচ্ছে ততক্ষণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁরা।
আন্দোলনকারীরা মনে করছেন, ধৃত সঞ্জয়ের সঙ্গে আরও কেউ কেউ জড়িত থাকতে পারে। তাঁদের কথায়, "আমরা কানাঘুষো শুনছি মৃত ছাত্রীকে গণধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে। ২-৩জন নাকি ছিল। সিপিও এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে এখনও কিছু বলতে পারেননি। জানিয়েছেন, তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"