শেষ আপডেট: 10th September 2024 21:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোমবার আরজি কর মামলায় সুপ্রিম কোর্ট পষ্টাপষ্টি জানিয়ে দিয়েছিল মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফিরতে হবে। নইলে তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার চাইলে ব্যবস্থা নিতেই পারবে।
সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ সত্ত্বেও মঙ্গলবার জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতিতে অনড় থাকলেন। শুধু তা নয়, এদিন স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে নেমেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবিদাওয়া না মেটা পর্যন্ত স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
এহেন পরিস্থিতি সত্ত্বেও জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে সরকার তড়িঘড়ি যে কোনও পদক্ষেপ করতে চায় না তা বুঝিয়ে দিল নবান্ন। শুধু তা নয়, জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে রাতেই আলোচনায় বসতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই প্রস্তাবে এদিনই রাজি হননি জুনিয়র ডাক্তাররা।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মঙ্গলবার সন্ধেয় আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের ইমেল বার্তা পাঠান স্বাস্থ্য দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নারায়ণ স্বরূপ নিগম। তিনি ইমেল বার্তায় ডাক্তারদের জানান, সরকারের শীর্ষ আমলাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য তাঁদের দশ জন প্রতিনিধি মঙ্গলবার রাতেই নবান্নে আসতে পারেন।
কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দেন, তাঁরা এদিনই যাবেন না। বরং তাঁদের মতে, ডাক্তারদের অপমান করা হয়েছে। যাঁর ইস্তফার দাবিতে তাঁরা আন্দোলনে বসেছেন, তিনিই বৈঠকের জন্য তাঁদের ইমেল পাঠিয়েছেন। নবান্ন ইমেল পাঠায়নি। সুতরাং নতুন করে প্রস্তাব এলে তাঁরা বিবেচনা করে দেখবেন। তা ছাড়া যেভাবে দশ প্রতিনিধিকে ডাকা হয়েছে তাতেও তাঁরা সন্তুষ্ট নন। সব মেডিকেল কলেজ থেকে প্রতিনিধিদের বৈঠকে ডাকতে হবে।
অন্যদিকে স্বাস্থ্য প্রতি মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, সরকার আলোচনায় প্রস্তুত। মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য নবান্নে অপেক্ষা করছিলেন। তাঁরা না যাওয়ায় তিনি বেরিয়ে গেছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য শোনার পর সরকার তাঁদের নতুন করে প্রস্তাব দেয় কিনা এখন সেটাই দেখার।
সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে পর্যালোচনার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে এমনিতেই বৈঠক ডেকে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকে সমস্ত সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার ও অধ্যক্ষদের ডাকা হয়েছে। সেই সঙ্গে ডাকা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ কর্তাদের। নবান্ন সূত্রে বলা হচ্ছে, ওই বৈঠকের আগে জুনিয়র ডাক্তারদের মতামত জানতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। যাতে তাঁদের সঙ্গত দাবিদাওয়া নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।