শেষ আপডেট: 25th October 2024 10:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের কিছু পরেই ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামারার কাছে ল্যান্ডফল করেছে ঘূর্ণিঝড় 'দানা'। এই ঝড়ের প্রভাব বাংলায় বিরাটভাবে পড়ার ইঙ্গিত ছিল। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন তিনি সারারাত নবান্নেই থাকবেন, ঘূর্ণিঝড়ের সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। সেই মতো গতকাল রাত থেকে নবান্নেই রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাত পেরিয়ে সকালেও কন্ট্রোল রুম থেকে তদারকি করছেন 'দানা' পরিস্থিতির।
'দানা' মোকাবিলায় অনেক আগেই নবান্নে কন্ট্রোল রুমে খোলা হয়েছিল। তাতে লাগানো হয়েছে জায়ান্ট স্ক্রিন। সেখানেই বারংবার চোখ রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই জায়ান্ট স্ক্রিনে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেই বুঝেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার পন্থা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নের নির্দেশে মঙ্গলবার থেকেই সাত জেলায় রয়েছেন বিভিন্ন দফতরের সচিবেরা। দুর্যোগের মোকাবিলায় নবান্নের পাশাপাশি জেলাগুলিতেও ২৪ ঘণ্টার জন্য খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ২৪ ঘণ্টার জন্য নবান্নে হেল্পলাইন নম্বর (০৩৩) ২২১৪৩৫২৬ চালু করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রাজ্য সরকার মোট ৮৫১টি ক্যাম্প খুলেছে, তাতে আশ্রয় নিয়েছেন ৮৩ হাজার ৫৮৩ জন। এমনটাই জানিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য ছিল, "সবচেয়ে দামি মানুষের জীবন। সেজন্য জীবন বাঁচানোটা জরুরি। সেখানে যেন কারও সমস্যা না হয়। রাতভর নবান্নে থেকেই সেটা পর্যবেক্ষণ করব।" সেই মতো সারারাত নবান্নেই ছিলেন তিনি। সকালেও সেখান থেকে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন।
'দানা'র প্রভাব বাংলায় যে মারাত্মক পড়েছে এমনটা নয়। কিন্তু তার জেরে যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শুক্রবার সকাল থেকে তাতে একাধিক এলাকা ইতিমধ্যে জলমগ্ন। বেহালা থেকে শুরু করে বালিগঞ্জ, কসবা সহ দক্ষিণ কলকাতার একাধিক এলাকা জলমগ্ন। সকাল থেকে রাস্তায় খুব বেশি দেখা মিলছে না বাস-অটোর। এদিকে, অনেক জায়গায় ঝড়ের কারণে গাছও ভেঙে পড়েছে। রাজ্যের একাধিক জেলায় এই ধরনের ছবি দেখা গেছে। বিশেষ করে সাগরের বিভিন্ন জায়গায় গতকাল রাতে বড় বড় গাছ রাস্তার ওপরে ভেঙে পড়েছে।
প্রশাসন ও উপকূলবর্তী এলাকার মানুষের শঙ্কা ছিল, আমফান বা ইয়াসের মতো এবারও তছনছ হবে সবকিছু। কিন্তু তেমন বড় ক্ষয়ক্ষতি এখনও হয়নি বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর। যে বিষয়টি স্বস্তি দিয়েছে সকলকেই।