শেষ আপডেট: 16th September 2024 23:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর মামলা নিয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে। সূত্রের দাবি, তার ঠিক আগে অচলাবস্থা কাটাতে জুনিয়র ডাক্তারদের অন্যতম দুই দাবি মেনে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবারের বৈঠকের আগে আন্দোলনকারী ডাক্তারদের সঙ্গে একটু ‘ট্র্যাক টু’ আলোচনার দরজা খোলা হয়েছিল। সূত্রের দাবি, সেই ব্যাক চ্যানেল আলোচনায় জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আগেই সমাধানের গতিপথ স্থির হয়ে যায়। সেই মোতাবেক এদিনের বৈঠকে সম্মত হয়েছে সরকার।
আরজি করের ঘটনার তদন্তের বিষয়টি আর রাজ্যের এক্তিয়ারে নেই। হাইকোর্টের নির্দেশে তা পুরোটাই চলে গেছে সিবিআইয়ের হাতে। আবার সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে অঙ্গীকার করেছে। হাসপাতালে ভয়মুক্ত পরিবেশ কায়েম করার ব্যাপারেও সরকার জুনিয়র ডাক্তারদের দাবির সঙ্গে গোড়া থেকে সহমত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে জুনিয়র ডাক্তারদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে তিন দফার নিষ্পত্তি হয়ে গেছিল আগেই।
মূল আড়ষ্টতা ছিল দুটি বিষয়ে। তা হল, কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে সরানোর প্রস্তাব। এবং স্বাস্থ্য সচিব, ডিরেক্টর হেল্থ সার্ভিসেস ও ডিরেক্টর মেডিকেল এডুকেশন পদে এখন যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের সরানো। বর্তমানে স্বাস্থ্য সচিব হলেন নারায়ণ স্বরূপ নিগম। ডিরেক্টর মেডিকেল এডুকেশন হলেন ডাঃ কৌস্তভ নায়েক এবং আর ডিরেক্টর হেল্থ সার্ভিসেস পদে রয়েছেন ডাঃ অজয় চক্রবর্তী।
এর মধ্যে কোন কোন দাবি সরকার মেনে নিয়েছে তা স্পষ্ট নয় ঠিকই। তবে এই দুই দাবির মধ্যে কোনও একটি বা দুটি সম্পূর্ণ বা আংশিক ভাবে সরকার মেনে নিলেও তা বড় ঘটনা বলে মনে করা হবে। এবং তা জুনিয়র ডাক্তারদের জন্যও বড় জয় বলে বিবেচিত হতে পারে।