প্রতীকি ছবি
শেষ আপডেট: 10th March 2025 18:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হালালের মতোই এবার বাজারে এল মলহার (Malhar certificate)। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নীতেশ রানে রাজ্যের সমস্ত ঝটকা খাসির মাংসের দোকানকে নতুনভাবে চালু হওয়া 'মলহার সার্টিফিকেশন'-এ রেজিস্টার করার আবেদন জানিয়েছেন। এই সার্টিফিকেশন শুধুমাত্র হিন্দু ব্যবসায়ীদের জন্য প্রযোজ্য হবে বলে জানা গেছে।
বর্তমানে ভারতে 'হালাল' সার্টিফিকেশন প্রচলিত রয়েছে। মুরগি বা খাসির মাংসের দোকানে গেলে বা অনেক রেস্তরাঁতেও 'হালাল' লেখা দেখা যায়। এই হালাল পদ্ধতির কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে শরিয়ত মোতাবেক ধীরে ধীরে পশুকে কাটা হয়, গলায় আড়াই প্যাঁচ চালানো হয় ধারালো ছুরি দিয়ে। কিছু ক্ষেত্রে হালাল বলতে শুধুমাত্র মুসলিমরা গ্রহণ করতে পারেন এমন খাবারকে বোঝায়। সেই নিয়ে একাধিক মত রয়েছে। তবে ধর্মীয় কিছু রীতি মেনে অনেকেই শুধুমাত্র হালাল মাংস খেয়ে থাকেন বা বিক্রি করে থাকেন। ফলে সাইনবোর্ডে 'হালাল' উল্লেখ করা থাকে।
সেখানে 'ঝটকা মাংস' বলতে এক কোপে পশুকে হত্যা করাকে বোঝায়। এই ঝটকা মাংস মূলত হিন্দুরা বিক্রি করেন। তাদেরই মলহার সার্টিফিকেশনের আওতায় আসার আবেদন জানানো হয়।
মহারাষ্ট্রের মৎস্যমন্ত্রী নীতেশ রানে জানিয়েছেন, ‘MalharCertification.com’ নামের একটি ওয়েবসাইট এই সার্টিফিকেশনের জন্য বানানো হয়েছে। যা শুধুমাত্র হিন্দু ক্ষত্রিয়দের দ্বারা পরিচালিত।
এনিয়ে তিনি বলেন, 'মহারাষ্ট্রের হিন্দুদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা হল। এই উদ্যোগের মাধ্যমে হিন্দুরা ঝটকা মাংস সহজেই পাবেন। আমি সকল হিন্দুদের অনুরোধ করব, যে দোকানে মলহার সার্টিফিকেশন নেই, সেখান থেকে মাংস না কেনার জন্য।'
‘মলহার সার্টিফিকেশন’
এই সার্টিফিকেশন প্ল্যাটফর্মের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে, ঝটকা মাংস কেবলমাত্র হিন্দু ধর্মীয় প্রথা মেনে কাটা হয় এবং ক্ষত্রিয়রাই এই মাংস বিক্রি করতে পারবেন। এই মাংস টাটকা, পরিষ্কার। অন্য কোনও পশুর মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করা হয় না।
এই নতুন নিয়ম নিয়ে মহারাষ্ট্রে রীতিমতো হইচই পড়েছে। একাংশ খুশি। তবে অনেকেই বলছেন, এতে সমস্যা বাড়তে পারে। কবে থেকে সার্টিফিকেশন চালু হচ্ছে, তা জানা যায়নি।