শেষ আপডেট: 10th March 2025 12:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ঘটনায় বাম ছাত্রদের হুঁশিয়ারি দিতে এবার বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের (Bakim Chandra Chatterjee) প্রসঙ্গ টানলেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। যে ঘটনা ঘটেছে তার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় মদন বলেছিলেন, 'ওদেরকে মারলে তো খুঁজে পাওয়া যাবে না'। এবার ফের একবার 'বাহুবল' ব্যবহারের আভাস দিয়ে রাখলেন তিনি।
বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের উদ্দেশে মদনের বার্তা ছিল, একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলের নেতা, কর্মীরা চুপ করে রয়েছেন। এরপর দলের কর্মীদের আটকে রাখা যাবে না। সোমবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে যাদবপুর ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে কার্যত আরও একধাপ এগোলেন তৃণমূলের 'কালারফুল' নেতা। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উক্তি টেনে তিনি বলেন, ''অনেক সমস্যা যেখানে বাক্যবলে কাজ হয় না, বাহুবল প্রয়োগই একমাত্র উৎকৃষ্ট পন্থা।'' তাহলে কি সরাসরি 'দাওয়াই' দেওয়ার কথা বললেন তিনি? মদনের বক্তব্য, কিছু দেওয়ার দরকার নেই। ওষুধের প্যাকেট বের করলেই সব হাওয়া হয়ে যাবে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে একাংশ ছাত্রর বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এক কলেজ পড়ুয়ার ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় জখম হন আরও এক পড়ুয়া। পাল্টা হিসেবে বামেদের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলা করার অভিযোগ এনেছে তৃণমূল। তারপর থেকেই চলছে হুঁশিয়ারির পালা। মদন আগেই দাবি করেছিলেন, ৩০ সেকেন্ড শান্ত করে দেওয়া যায় যাদবপুর। কিন্তু তাঁরা সংযত হয়ে আছেন একমাত্র দলনেত্রীর নির্দেশের কারণে। তবে হুঁশিয়ারি দেওয়া থেকে বিরত থাকছেন না মদন।
বিধানসভা থেকে এদিন তিনি আরও বলেন, ''বহুদিন থেকেই দেশবিরোধী দলের আখড়া ছিল। এখনও যা করছে এরা তাতে মানুষের থেকে এমনই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মানুষ এসব পছন্দ করেন না। তাঁরা সব নাটক বুঝে গেছেন।'' এর আগে মদন 'পরামর্শ' দিয়ে বলেছিলেন, বামপন্থীরা যেভাবে খ্যাপাচ্ছেন এর পর হাতে পায়ে ধরে তৃণমূলের ঝাণ্ডা ধরা ছাড়া ওদের আর কোনও উপায় থাকবে না!
সম্প্রতি যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষও দাবি করেছিলেন, যাদবপুরে কার্যত গুন্ডামি চলছে। আর এইভাবে গুন্ডামি চলতে থাকলে যাদবপুরের নাম মাটিতে মিশতে খুব বেশি সময় লাগবে না। সায়নী মনে করান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩৪ বছরের সিপিএম আমলের গুন্ডারাজ বন্ধ করে দেখিয়ে দিয়েছেন। যাদবপুরও শান্ত করতে পারতেন। কিন্তু সহনশীলতা দেখাচ্ছেন। সায়নীর কথায়, ''মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দমন-নীতিতে বিশ্বাসী নন। তিনি অত্যন্ত সহনশীল। আর এর জন্যই যাদবপুরে পুলিশ ঢুকছে না। মুখ্যমন্ত্রী চাইলে পুলিশ অনেক কিছু করতে পারত।''