শেষ আপডেট: 30th January 2025 16:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যুর পিছনে রয়েছে জাল স্যালাইনই, প্রথম থেকেই এই অভিযোগ এনেছে বামেরা। বৃহস্পতিবার ফের স্যালাইন কাণ্ডের প্রতিবাদে ক্যামাক স্ট্রিটের ড্রাগ কন্ট্রোল অফিস অভিযানে নেমেছিল সিপিএমের ছাত্র-যুব সংগঠন এসএফআই, ডিওয়াইএফআই। এদিন নিজাম প্যালেসে গিয়ে ডেপুটেশনও জমা দেন ফুয়াদ হালিম, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা।
ডিওয়াইএফের রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘‘আমরা সকাল সকাল এখানে ডেপুটেশন কর্মসূচি ঠিক এই কারণেই করতে চেয়েছিলাম যাতে পুলিশ এটা না ভাবে যে আমরা ধস্তাধস্তি করতে এসেছিলাম। আসলে ওরা সব সময়ই চায় যাতে সরকারের মুখোশটা খুলে না যায়। আর আমরা আজকের এই ডেপুটেশনের মাধ্যমে সরকারের মুখোশটা আপনাদের মাধ্যমে, গোটা রাজ্যের মানুষের কাছে তুলে ধরতে চেয়ছিলাম। এর বাইরে আর কিছু নয়।"
মীনাক্ষী আরও বলেন, "গোটা ল্যাবরেটরিতে যাচ্ছেতাই অব্যবস্থার মধ্যে স্যালাইন তৈরি হচ্ছে। কিন্তু স্যালাইনটা যে খারাপ, সেটা বলবে না। মানুষ স্যালাইনের জন্য যে মরে যাচ্ছে সেটা ওরা স্বীকার করবে না। '২৩ সাল থেকে '২৪ সাল শেষ হয়ে '২৫ শুরু, সাব স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটিতে স্যালাইন বানানো একটা কোম্পানি বহাল তবিয়তেস্যালাইন বানিয়ে গেল, কেউ কিচ্ছু বলল না। সবচেয়ে অবাক করা জিনিস, রাজ্যের সরকারও পর্যন্ত একটা অভিজ করেনি এই বিষাক্ত স্যালাইনের বিরুদ্ধে।"
বস্তুত, প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে এর আগে মেদিনীপুরে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল সিপিএমের ছাত্র, যুব, মহিলা সংগঠন। সেখানে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বাম ছাত্র-যুবদের। যার জেরে মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
তার আগে গত ১২ জানুয়ারি মীনাক্ষীর নেতৃত্বে সুপারের অফিসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই-ডিওয়াইএফআই। সুপারের অফিসে তালা ঝুলিয়ে প্রতিবাদ করেন বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের সদস্যরা।