Advertisement
অনাদি সাহু
Advertisement
শেষ আপডেট: 20 April 2025 16:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ছাত্রযুবরা পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে। রাজ্যের উন্নতি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বেড়েছে। সরকারের নীতির কারণে গরিবেরও রোজগার বাড়ছে না। মেহনতি মানুষের কথা মাথায় রেখে শ্রমিক বিরোধী শ্রমকোড বাতিলের দাবিতে ২০ মে দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিল বামেরা। ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে সিটুর সাধারণ সম্পাদক অনাদি সাহু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দিলেন, 'আগুন নিয়ে খেলবেন না।'
ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে দলকে অক্সিজেন জোগাতে বৈশাখী দুপুরে ব্রিগেড সমাবেশ সিপিএমের চার গণসংগঠনের। এপ্রিলের রোদের তেজের কথা ভেবেই এদিন বেলা ৩টেয় ব্রিগেডের সভা শুরু করে বামেরা। বক্তা ছ’জন। যাঁদের মধ্যে একমাত্র হেভিওয়েট রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এছাড়া তালিকায় ছিলেন, সিটুর অনাদি সাহুও।
ব্রিগেড সমাবেশ থেকে তৃণমূল এবং বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করলেন সিটুর সাধারণ সম্পাদক। বললেন, "চা বাগান, চটকল, কয়লাখনি, ইস্পাত কারখানার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। সমস্ত শ্রমজীবী মানুষ আজ বিপন্ন। দুর্নীতিগ্রস্ত, স্বৈরাচারী, ফ্যাসিবাদী সরকার ১৪ বছর ধরে রাজ্যে লুটপাট চালাচ্ছে। অন্যদিকে, স্থায়ী কাজে অস্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক নেওয়া হচ্ছে। এই পদ্ধতি শ্রম আইনকে ভেঙে দিচ্ছে। একবার না, বার বার। সব ক্ষেত্রে অস্থায়ী শ্রমিক, বাধ্য হয়ে তাঁরা কম মজুরিতে কাজ করছেন। আর এরপর কেন্দ্রীয় সরকার শ্রম কর লাগু করতে চলেছে।"
তিনি আরও বলেন, "আমাদের জনগণের অর্থে যে সম্পদ তৈরি করেছি, তা আজকে আদানি-আম্বানির হাতে তুলে দিচ্ছে মোদী সরকার। মানুষের জন-জীবন সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত। ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি করা, সাম্প্রদায়িক বিভাজনকারী বিজেপি, আরএসএস একদিকে আর অন্যদিকে রাজ্যে তৃণমূল মিলে বাংলায় দাঙ্গার পরিবেশ তৈরি করছে।"
এপ্রিল থেকে সারা দেশে ধাপে ধাপে নতুন শ্রমকোড কার্যকরের জন্য উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। যেখানে ২৯টি শ্রম আইন বাতিল করে চারটি বিধি চালু হওয়ার কথা। কেন্দ্র চাইছে, সমস্ত রাজ্য এ ব্যাপারে নিয়মাবলি তৈরি করুক। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিরোধী শাসিত কিছু রাজ্য এবং শ্রমিক সংগঠনগুলি বড় অংশ বিধির বিরোধিতা করে বাতিলের দাবি জানিয়েছে।
ইউনিয়নগুলির হুঁশিয়ারি, বিধি চালুর চেষ্টা হলে দেশজুড়ে আন্দোলন হবে। তারই অঙ্গ হিসেবে ২০ মে ধর্মঘট ডেকেছে সিটু, আইএনটিইউসি, এআইটিউসি, এইচএমএস, ইউটিইউসি, টিইউসিসি, এআইইউটিইউসি-সহ ১০টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন। ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে সে কথাই আর একবার মনে করিয়ে দিতে চাইলেন অনাদি সাহু।
Advertisement
Advertisement