শেষ আপডেট: 23rd October 2024 17:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'দানা' নিয়ে আশঙ্কা আরও বাড়ছে রাজ্যের। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় পরিণত হয়েছে এবং ক্রমশই তা এগিয়ে আসছে স্থলভাগের দিকে। কলকাতা পুরসভা ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ক্ষয়ক্ষতি সামলাতে। তৎপর লালবাজারও। পুলিশের তরফে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
বুধবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক থেকে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক হাবিবুর রহমান জানান, এই মুহূর্তে সাগরদ্বীপ থেকে ৫৭০ কিমি দূরে, পারাদ্বীপ থেকে ৪৯০ কিমি এবং ধামরা থেকে ৫২০ কিমি দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়। এটি ক্রমশ উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। বৃহস্পতিবার থেকে ঝড় আরও তীব্রতর হবে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার দুপুরে বৈঠক হয় লালবাজারে। সেই বৈঠক থেকেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কন্ট্রোল রুম খুলে এদিন দুপুর থেকেই বিশেষ মনিটরিং শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। সাধারণ নাগরিকরা ১০০ ডায়াল করে পুলিশের সাহায্য চাইতে পারেন। লালবাজারের কন্ট্রোল রুমের নম্বর ৯৪৩২৬-১০৪৫৫, ৯৪৩২৬-১০৪৪৫, ৯৪৩২৬-১০৪৩০, ৬২৯২২-৬৩৪৪০ (হোয়াটসঅ্যাপ)।
এছাড়া কলকাতায় বিপজ্জনক বাড়িগুলির একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এবং সেখানকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বাসিন্দাদেরই রাস্তার খোলা এবং আলগা তারের তথ্য সিইএসসি-কে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হামেশাই বৃষ্টি হলে শহরে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয়। এবার যাতে কোনও রকম প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে তাই এহেন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কলকাতা পুরসভা আলাদা করে বড় বড় হোর্ডিং অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে রাস্তাঘাট থেকে। পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেড, কেএমসি, এনডিআরএফ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে সতর্ক থাকতে বলেছে যাতে যে কোনও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। গাছের নীচে গাড়ি পার্কিং না করাতে ট্রাফিক গার্ডদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবর সকালের মধ্যে উত্তর ওড়িশা ও সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি জায়গা ওড়িশার ভিতর-কণিকা ও ধামরার মধ্যে ল্যান্ডফল করার কথা।