ছবিটি প্রতীকি
শেষ আপডেট: 26 February 2025 16:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দক্ষিণ ২৪ পরগণার মথুরাপুরে মোবাইল টাওয়ার প্রতারণা মামলায় পুলিশি তদন্তের পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। এর প্রেক্ষিতেই ওই মামলার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল বুধবার।
মথুরাপুর থানা এলাকার বাসিন্দা কমল হালদারের দাবি, ২০২১ সালে একটি আজনা ফোন নম্বর থেকে তাঁকে জমিতে মোবাইল টাওয়ার বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে তিনি রাজি ছিলেন না। কিন্তু একাধিকবার ফোন করে মহিলারা লাস্যময়ী কণ্ঠে প্রস্তাব দিতে থাকেন। বলা হয়, তাঁর জমিতে রিলায়েন্স জিও-র (ফাইভ জি) টাওয়ার বসানো হবে এবং এর পরিবর্তে তিনি প্রতি মাসে মোটা টাকা আয় করতে পারবেন। সেইসঙ্গে তাঁর পরিবারের দু’জনকে চাকরিও দেওয়া হবে বলে জানান। শেষ পর্যন্ত তিনি প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান।
কমল হালদারের দাবি, এরপর কখনও সিকিওরিটি হিসেবে আবার কখনও নো-অবজেকশন পাওয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকে দফায় দফায় প্রায় সাত লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। এই ঘটনায় ২০২৩ সালে তিনি মথুরাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তারপরও পুলিশ তদন্ত করে অপরাধটির কোনও কিনারা করতে পারেনি। পাশাপাশি এক পয়সাও উদ্ধার করা যায়নি। এরপর বাধ্য হয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।
বুধবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। পুলিশের এই ধরনের তদন্তের পরিকাঠামোর অভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য, 'এই সব এলাকার থানাগুলিকে সব সময় আইনশৃঙ্খলা সামলাতেই হাবুডুবু খেতে হয়। এই ধরনের প্রতারণার ঘটনায় তদন্তের জন্য যে পরিকাঠামো প্রয়োজন তা নেই।'
দু'বছর কেটে গেলেও পুলিশ কিছু করতে পারেনি। এরপরই ঘটনায় সিআইডির সাইবার ক্রাইম শাখাকে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি ঘোষ।