Advertisement
নিজস্ব ছবি
Advertisement
শেষ আপডেট: 24 April 2025 17:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পাটুলির বৈষ্ণবঘাটার বাসিন্দা বিতান অধিকারীর (Bitan Adhikari) কফিন বন্দি দেহ কলকাতায় ফিরেছে বুধবার রাতে। জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলায় (Jammu Kashmir Pahalgam Terror Attack) যে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বিতান তাঁদেরই একজন। সন্তানকে নিয়ে বেঁচে ফিরলেও তাঁর স্ত্রী স্বাভাবিকভাবেই এখনও আতঙ্কিত। দুঃস্বপ্ন দেখার মতো যেন কেঁপে উঠছেন বারবার। গলা ভারী। বিতানের বৃদ্ধ মা-বাবাও একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।
নিহত বিতানের পরিবারকে ইতিমধ্যেই আর্থ সাহায্য করেছে জম্মু ও কাশ্মীর সরকার। ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে পারে কেন্দ্র-রাজ্যও। সেই অর্থের পুরোটা যেন বিতানের স্ত্রী সোহিনীকে না দেওয়া হয়, সেই আর্জিই জানালেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, "ওঁদের পরিবারের যা সমীকরণ, তাতে এই দু'জন ঘোরতর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।" তৃণমূল নেতা কোন সমীকরণের কথা বোঝাতে চাইলেন, সেই নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে।
বুধবার রাতে বিতান-পত্নী কলকাতা ফেরার পর থেকে ঘটনাক্রমে যা যা ঘটেছে, সেই অনুযায়ী কুণালের মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। গতকাল বিমানবন্দরেই অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় সোহিনীকে। তাঁদের সন্তানকে কোলে তুলে নেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
রাজ্য় সরকারকে অন্ধকারে রেখেই সোহিনীকে বলেতে শোনা গিয়েছে, তিনি নাকি শুভেন্দু অধিকারীর ভরসায় ফিরেছেন। তারপরই পহেলগামে কীভাবে হিন্দুদের বেছে বেছে হত্যা করা হয়েছে সে ঘটনার কথাও জানান। সেই প্রসঙ্গেই বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ।
তিনি লিখেছেন, "প্রথমে টিভিতে বাইট: হিন্দু মুসলমান বেছে মারেনি। পরে বিজেপি নেতাদের সামনে: হিন্দু বলে মেরেছে। মুখ্যমন্ত্রী-সহ রাজ্যের প্রশাসনের অন্তত কুড়িটি ফোন। ফেরার সব সাহায্য। ফিরে বিজেপির সামনে: আপনাদের ভরসায় ফিরেছি। মৃতের বাবা-মা অসহায়। ছেলে নেই। পুত্রবধূ তাঁদের কাছে থাকতেন না, দেখতেন বলে খবর নেই। কলকাতাতেই অন্যত্র থাকতেন। বাবা মা অনিশ্চয়তায়।" সঙ্গে আরও লেখেন, "এখন শোকের বাতাবরণ। তাই অপ্রিয় প্রশ্ন তুলছি না। বাড়াবাড়ি রাজনৈতিক দ্বিচারিতার নাটক, শেখানো সংলাপে বিষ ছড়ানো দেখলে বলবই। যিনি যা মনে করেন, করবেন।"
উল্লেখ্য, উত্তপ্ত পাহাড়ে যখন অমিতাভ মালিকের প্রাণ গিয়েছিল তখন কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন শহিদ সাব ইন্সপেক্টরের স্ত্রী বিউটি মালিক। স্বামীর চাকরি পেয়েছিলেন বিউটি। তারপরই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের গলায় আক্ষেপের সুর শোনা গিয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল বউমা বাড়ি আসেন না। সরকারের দেওয়া অর্থও পরিবারকে দেননি। অন্যদিকে, ভারতীয় সেনায় কর্মরত ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংহের মরণোত্তর সম্মান 'কীর্তি চক্র' নিয়েও বিতর্ক হয়েছিল বিস্তর।
পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন, স্বামীর মৃত্যুর পর আর্থিক সাহায্য় পাওয়ার পর অনেকেই শ্বশুরবাড়ির কথা ভুলে যান। যে কারণে কুণাল ঘোষ সম্ভবত সেই আশঙ্কা থেকেই এহেন মন্তব্য করেছেন।
Advertisement
Advertisement