শেষ আপডেট: 24th October 2024 09:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কালীপুজো মানেই বাজির রমরমা। সেই তালিকায় চকোলেট বোমা যে থাকবেই তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রতিবছরই অবৈধ বাজি রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেয় প্রশাসন। তবুও সেই পদক্ষেপকে তোয়াক্কা না করেই দেদারে শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ সামনে আসে। চলতি বছরে কোন কোন বাজি বাজারে বিক্রি হবে? বৃহস্পতিবার তারই অগ্নিপরীক্ষা।
তালিকায় অনান্য বাজি থাকলেও সবার মনে প্রশ্ন চকোলেট বোমার ভবিষ্যৎ নিয়ে। এদিনের পরীক্ষায় উতরে গেলে যেমন নিষেধাজ্ঞা উঠবে, তেমনই না উঠলে বহাল থাকবে নিষেধাজ্ঞা। বর্তমানে বাজির শব্দমাত্রা ৯০ ডেসিবেলের পরিবর্তে বেড়ে হয়েছে ১২৫। সে কারণেই চলতি বছর ফের চকোলেট বোমা বাজারে ফিরতে পারে বলে খবর।
বাজি প্রস্তুতকারদের দাবি, চকোলেট বোমার শব্দমাত্রা ১০০ থেকে ১১৫ ডেসিবেলের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। সে কারণেই মিলতে পারে চকোলেট ছাড়পত্র। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে কলকাতার টালা পার্কে বাজি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে ১৫ ধরনের বাজির পরীক্ষা হবে বলে খবর।
এদিন সকাল থেকেই ঘূর্ণিঝড় দানার দাপটে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সে কারণে বাজি পরীক্ষার বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় পরীক্ষকরা। পরীক্ষার সময় বৃষ্টি হলে প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
প্রথমে জানা গিয়েছিল এবারে কালীপুজোর আগে বিক্রি হওয়া বাজি বৈধ কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে না। বাজি ব্যবসায়ী, উৎপাদক এবং পুলিশের মধ্যে হওয়া বৈঠকে যে মিটিং মিনিটস ছিল, সেখানে এমন কথাই লেখা হয়েছিল কলকাতা পুলিশের তরফে। কিন্তু পরে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তড়িঘড়ি নিজেদের সিদ্ধান্ত ব্দল করে কলকাতা পুলিশ।
বাজি বাজার বসার আগে আগেই বাজির বৈধতা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার থেকেই কলকাতায় পুলিশের উদ্যোগে চারটি বৈধ বাজি বাজার বসতে চলেছে। সেখানে কোন বাজি বিক্রি হবে, কোনটা হবে না, বৃহস্পতিবার তারই পরীক্ষা নেবে কলকাতা পুলিশ।
প্রসঙ্গত, নিয়ম, বিধি আলগা করেই কলকাতা পুলিশ জানিয়ে ছিল, 'শব্দবাজির ক্ষেত্রে দেশের অন্যান্য জায়গার মতো পশ্চিমবঙ্গেও ১২৫ ডেসিবেল পর্যন্ত ছাড়পত্র রয়েছে। সুতরাং শব্দদূষণ রুখতে আলাদা করে শব্দমাত্রা পরীক্ষার তেমন দরকার নেই।' এমন সিদ্ধান্ত শুনে পরিবেশবিদদের একাংশ একমত হতে পারেননি। তাঁদের মতে, হামেশাই বাজি বিস্ফোরণের খবর আসছে।