শেষ আপডেট: 15th August 2024 11:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুধবার রাতে আরজি কর হাসপাতালে যে তাণ্ডব চলেছে তাতে আশঙ্কা সব সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট হয়ে গেছে। কারণ যে রুমে তা স্টোর করা ছিল সেই রুমেও দেদার ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পাশাপাশি এও আশঙ্কা ছিল, অভিশপ্ত ওই সেমিনার হলেও হয়তো হামলা করেছিল দুষ্কৃতীরা। যদিও কলকাতা পুলিশের তরফে স্পষ্ট জানান হয়েছে, ওই সেমিনার হল অক্ষত রয়েছে।
যে সেমিনার রুম নিয়ে এত আলোচনা সেখানেই তরুণী চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এরপর ওই সেমিনার হল ভাঙা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে আরজি করে নতুন করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে বুধবার মধ্যরাতে যা ঘটেছে তা যেন সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে। হাসপাতালের কর্মীরা জানিয়েছেন, অন্তত ২৫০-৩০০ জন লোক ঢুকে তাণ্ডব চালায় হাসপাতালে। জরুরি বিভাগ তছনছ করা হয়েছে, নষ্ট হয়েছে লক্ষাধিক টাকার ওষুধও।
অভিযোগ উঠেছে, বুধবার রাতের ঘটনা সুপরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে যাতে, সব প্রমাণ নষ্ট হয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজের রুম ছাড়াও সেমিনার হলেও হামলা করা হয়েছে। যদিও বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের তরফে স্পষ্ট জানান হয়েছে, সেমিনার রুমে কোনও হামলা হয়নি, তা অক্ষত রয়েছে। একই সঙ্গে বার্তা, কেউ কোনও গুজব ছড়াবেন না, কেউ গুজবে সহজে কানও দেবেন না।
শুধু হাসপাতালের ভিতরে নয়, বাইরেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। একাধিক পুলিশের গাড়িতে, হাসপাতালের বাইরের পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করা হয়। একাধিকজন পুলিশ কর্মীও এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে খবর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। নামানো হয় ব়্যাফও। হামলাকারীদের খোঁজে ফেসবুক পোস্টও করা হয়েছে ইতিমধ্যে।
পুলিশের তরফে ফেসবুক পোস্টে বেশ কয়েকটি ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে, ''যাদের চেহারা চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের সন্ধান জানা থাকলে অনুরোধ, জানান আমাদের, সরাসরি বা আপনার সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে।'' পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বুধবার রাতেই স্পষ্ট বলেছেন, "হামলাকারীদের কাউকে ছাড়া হবে না। যারা হামলা করেছে তাদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করা হবে।"
বুধবার মধ্যরাতে একদিকে যখন নারী আন্দোলন চলছে শহরজুড়ে সেই সময়ই আরজি কর হাসপাতালে হামলা হয়। একদল দুষ্কৃতী পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে পড়ে। তারপর জরুরি বিভাগ ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়।