শেষ আপডেট: 12th August 2024 19:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নির্যাতিতার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে সোমবারই পুলিশ কমিশনারকে সাতদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবারের মধ্যে দোষীরা গ্রেফতার না হলে তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেবেন বলে জানিয়েছেন। তারপরেই নজরকাড়া তৎপরতা লালবাজারে।
এদিন লালবাজারে ডেকে জেরা করা হল আরজি কর হাসপাতালের সাতজন ইন্টার্নকে। আগামীকাল ডেকে পাঠানো হয়েছে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকেও। তিনিই সেদিন নির্যাতিতার বাড়িতে ফোন করে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ছাত্রীর মৃত্যুর খবর জানিয়েছিলেন। ডেকে পাঠানো হয়েছে চেস্ট মেডিসিনের এইচওডিকেও। এঁদের জেরা করে সেদিনের ঘটনায় মিসিং লিঙ্কগুলি জুড়তে চাইছেন পুলিশ কর্তারা।
এদিন লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছিল এক তরুণীকে। তাঁর সঙ্গেও দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন পুলিশ কর্তারা। পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রায় তিনমাস ধরে এই তরুণীকে অনবরত ফোনে উত্যক্ত করত ডাক্তারির ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। ওই তরুণীর মা জানান, সদ্য সন্তান প্রসব করেছে তাঁর মেয়ে। নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁর মেয়েকে অশালীন প্রস্তাব দিত সঞ্জয়। সঞ্জয়ের কল লিস্ট ঘেঁটেই এই মহিলাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ শোনার পর পুলিশ কর্তারা বলছেন, যত সময় গড়াচ্ছে ততই সঞ্জয়ের নানা কীর্তি সামনে আসছে।
আরজিকর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলায় সেমিনার হল থেকে শুক্রবার সকালে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ছাত্রীর দেহ মেলে। খবর জানাজানি হতেই তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। স্নাতকোত্তর স্তরে দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ওই ছাত্রী বৃহস্পতিবারও রাত ২টো পর্যন্ত হাসপাতালের ওয়ার্ডে ডিউটি করেন। পরে কর্মরত আরও দুই জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে রাতের খাওয়া সেরে পড়াশোনার জন্য সেমিনার হলে চলে যান। শুক্রবার সকাল থেকে আর খোঁজ মিলছিল না তাঁর। পরে সেমিনার হল থেকে মেলে অর্ধনগ্ন দেহ। পুলিশের অনুমান, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই ছাত্রীকে। এরপরেই সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সঞ্জয় রায় নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা হদিশ পেতে লাগাতার তদন্ত চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ।