শেষ আপডেট: 31st October 2024 21:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কথায় বলে চোরের নাকি পছন্দ থাকতে নেই! অন্তত পেশাগত দিক থেকে।
সম্প্রতি বেহালা থানা এলাকার একটি বাড়ি থেকে সোনা-রুপোর গয়না, নগদ টাকা মিলিয়ে প্রায় ৯.৭৫ লক্ষ টাকা খোয়া গিয়েছিল এক ব্যক্তির। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ দু'জন দাগী চোরকে গ্রেফতার করে। জেরায় ধৃতদের চুরির 'কারণ' শুনে চমকে উঠেছেন কলকাতা পুলিশের দুঁদে কর্তারা।
এ ব্যাপারে ফেসবুকে একটি পোস্টও করেছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, 'তাদের বক্তব্য, চুরির আগে গোটা এলাকা সরেজমিনে দেখে নিয়েছিল তারা, এবং দুটি কারণে বাড়ি ‘পছন্দ’ করে – এক, বাড়িটি দোতলায়, দুই, বাড়িতে কেউ নেই।'
কলকাতা পুলিশের এমন পোস্টে অনেকেই যেমন পুলিশের প্রশংসা করেছেন তেমনই অনেকে রসিকতার সুরে চোরের 'পছন্দে'র তারিফ করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ অক্টোবর সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ চুরির ঘটনাটি ঘটেছিল বেহালা থানার অন্তর্গত জ্যোতিষ রায় রোডে। ১৪ অক্টোবর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনার তদন্তে নামেন সাব-ইনস্পেকটর মানস ভট্টাচার্য, সঙ্গে সাব-ইনস্পেকটর আরশাদ আলি ও পাঞ্চজন্য সরকার। আশপাশ থেকে সংগৃহীত বহু ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তাঁরা, কাজে লাগান একাধিক ‘সোর্স নেটওয়ার্ক’-ও। পাশাপাশি চলতে থাকে পাহারা।
সেই সূত্রেই ২২ অক্টোবর সন্ধেয় বাইপাসের একটি নামী হোটেল থেকে ট্যাংরা এলাকার বাসিন্দা রহিম আলি ওরফে লালচাঁদ (২৯) নামে কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করে পুলিশ। অতীতে একাধিক চুরি-ছিনতাইয়ের হাতযশ রয়েছে অভিযুক্তর। একাধিকবার জেলও খেটেছে।
পুলিশের দাবি, ধৃতকে জেরা করে প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় একটি রেস্তোরাঁর সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় তার প্রতিবেশী মহঃ পারভেজকে (২৩)। তারপরই জেরায় চুরির কারণ হিসেবে নিজেদের পছন্দের কথা তুলে ধরেছেন ধৃতরা।
এক পুলিশ কর্তার কথায়, "চাকরি জীবনে অনেক চোর, ডাকাত সামলাতে হয়েছে। তা বলে এ'রকম রসিক চোর আগে দেখিনি!" এমনকী, এর আগে কেউ এরকম রসিক চোর দেখেছেন কিনা, তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে পুলিশের অভ্য়ন্তরে!
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের জেরা করে এখনও পর্যন্ত খোয়া যাওয়া সামগ্রীর মধ্যে সোনা-রুপোর সামগ্রী এবং নগদ অর্থ মিলিয়ে ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।