ration scam
শেষ আপডেট: 15 March 2024 13:35
দ্য ওয়ল ব্যুরো: রেশন দুর্নীতি মামলায় তৎপর কলকাতা পুলিশ।
সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত প্রতিটি ডেপুটি কমিশনারের কাছে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ মার্চ ২০২৪ সাল পর্যন্ত কী কী অভিযোগ জমা পড়েছে, তার তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত বিভিন্ন থানা এলাকায় রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত কতগুলি অভিযোগ জমা পড়েছে, কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং মামলাগুলি এই মুহূর্তে কোন অবস্থায় রয়েছে, প্রতিটি ডেপুটি কমিশনারের কাছে এই তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে লালবাজার। শুক্রবার বিকেলের মধ্যে এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। একইভাবে রাজ্য পুলিশের কাছে জেলাগুলির কাছেও তথ্য চাওয়া হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আদালতের নির্দেশে রেশন দুর্নীতির তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইতিমধ্যে আটাকল মালিক বাকিবুর রহমান, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বনগাঁর বিধায়ক শঙ্কর আঢ্য এবং বিশ্বজিৎ দাসকে গ্রেফতার করেছে ইডি। তারই মাঝে হঠাৎ কলকাতা পুলিশের এই তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।
পুলিশের তৎপরতার নেপথ্যে শাসকদলের রাজনৈতিক অভিসন্ধি থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সিপিএমের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। বিকাশবাবুর দাবি, “নিশ্চয়ই সৎ উদ্দেশে পুলিশের এই তৎপরতা নয়। ইডি কোনও কিছু লিড পাওয়ার আগেই ঘোঁট পাকানোর জন্য পুলিশ মাঠে নেমে পড়েছে। তারপরে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটাতে সুপ্রিমকোর্টে গিয়ে বলবে, আমরা তো তদন্ত করছি!”
বিকাশের আরও দাবি, "তৃণমূলের কথা মতোই পুলিশের এই তৎপরতা। তা না হলে ইডির তদন্তের মাঝে ওরা হঠাৎ কেন সক্রিয় হয়ে উঠলেন।" এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।