শেষ আপডেট: 24th October 2024 16:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অফিস টাইমে কলকাতা মেট্রোর যাত্রীদের মাঝেমধ্যেই ভোগান্তি হয়। না, ট্রেন বিভ্রাটের জন্য শুধু নয়। এর আরও একটা বড় কারণ আত্মহত্যার ঘটনা। কলকাতার কোনও না কোনও মেট্রো স্টেশন থেকে হামেশাই খবর আসে কারও আত্মহত্যা করার। সম্প্রতি বুধবারও দেখা গিয়েছিল সন্তানকে কোলে নিয়ে মা চাঁদনি চক স্টেশনে মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দিয়েছেন। এই ঘটনার পর বিশেষ পদক্ষেপ নিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
মেট্রো স্টেশনে এবার রেললাইনের সামনে গার্ডরেল বসিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আপাতত কালীঘাটে সেই গার্ডরেল বসানো হয়েছে পরীক্ষামূলকভাবে। তাতে সফলতা এলে প্রতিটি স্টেশনেই এই গার্ডরেলের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু এটা কারও কাছে স্পষ্ট নয় যে, সামান্য স্টিলের গার্ডরেল বসিয়ে কীভাবে আত্মহত্যা আটকানো যাবে। বরং অনেকেই মনে করছেন এতে আরও দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়তে পারে।
কলকাতা মেট্রোয় আত্মহত্যার ঘটনা রুখতে প্ল্যাটফর্মের দু’ধারে কাচের দেওয়াল বা ব্লক রাখতে হবে স্লাইডিং দরজার সঙ্গে। ঠিক যেমন বিদেশের মেট্রোতে আছে বা কলকাতাতেই ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো করিডর বা হাওড়ার লাইনে রয়েছে। তেমনটা না হলে এই ঘটনাবলী আটকানো সম্ভব নয় বলেই ধারণা অধিকাংশের। কারণ স্টিলের এই গার্ডরেল টপকানো বা তাকে ধাক্কা দিয়ে সরানো এমন কিছু কঠিন কাজ নয়। উল্টে, ট্রেন ধরার সময়ে তাড়াহুড়োতে এতে ধাক্কা খেয়ে অনেকে পড়ে যেতে পারেন। সেই আশঙ্কা আছে। তাই এই সিদ্ধান্ত কতটা কী বদল আনতে পারবে তা সময়ই বলবে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ অবশ্য মনে করছে, এই গার্ডরেলের বিষয়টি প্রচারে নিয়ে এলে এতটা সমস্যা হবে না। ট্রেন ধরার সময় মাইকিং করা হবে, রেল পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে কাজ করলে বিপদ এড়ানো সম্ভব বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বুধবার সকাল প্রায় ১১ টা নাগাদ এক মহিলা চাঁদনি চকে মেট্রো ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই লাইনে ঝাঁপ দেন। এই সময় সঙ্গে তাঁর সন্তানও ছিল।
এই ঘটনায় সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় আপ এবং ডাউন লাইনের গিরিশপার্ক থেকে ময়দান পর্যন্ত পরিষেবা। গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া কালীঘাট মেট্রোর লাইন। চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশনে আটকে পড়া যাত্রীদের প্রথমে বের করা হয়। পরে ধীরে ধীরে মেট্রোয় আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। অফিস টাইমে সকাল সকাল এমন ঘটনায় দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা।