শেষ আপডেট: 24th October 2024 18:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র আতঙ্কে কাঁপছে বাংলা। মূলত ওড়িশায় ল্যান্ডফল হওয়ার কথা থাকলেও তার বড়সড় প্রভাব বাংলায় পড়বে। কারণ ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামারার কাছে ল্যান্ডফল করার সম্ভাবনা থাকলেও 'দানার' বিস্তৃতি থাকবে পুরী থেকে সাগরদ্বীপ পর্যন্ত। দুর্যোগের কথা মাথায় রেখেই লোকাল ট্রেন থেকে শুরু করে বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ ফেরিঘাটও। কিন্তু কলকাতা মেট্রোর পরিষেবায় কোনও বদল আসছে না।
কলকাতা মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের পরিষেবা সচল থাকছে। প্রতিদিন যেমন ট্রেন চলে তেমনই ট্রেন চলবে আগামী দুদিন। অর্থাৎ দক্ষিণেশ্বর-দমদম-কবি সুভাষ লাইনে প্রতিদিনের মতো নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী মেট্রো চলবে। এমনটাই স্পষ্ট করেছেন রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র। তাঁর কথায়, মেট্রো পরিষেবা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক থাকবে। কোনও পরিবর্তন হবে না। এই পরিষেবা সচল থাকার কারণ খুব স্বাভাবিক। কয়েকটি স্টেশন ছাড়া মেট্রো চলাচল অধিকাংশ সময়ই মাটির নীচ দিয়ে হয়। তাই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সেখান পড়ার কোনও কথাই নয়।
এই মুহূর্তে পারাদ্বীপ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে, ধামারা থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বে এবং সাগরদ্বীপ থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে 'দানা'। ল্যান্ডফলের সময় ঘণ্টায় এর গতিবেগ সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এই আশঙ্কায় শিয়ালদহ এবং হাওড়ায় একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বেশ কয়েক ঘণ্টা বিমান উড়বে না।
হাওয়া অফিস সূত্রের দাবি, ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে পূর্ব মেদিনীপুরে। ল্যান্ডফলের সময় দিঘা, মন্দারমনি-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ১০০ থেকে ১২০ কিমি। তীব্র জলোচ্ছ্বাস দেখা যেতে পারে সমুদ্রে। ল্যান্ডফলের সময় উপকূলবর্তী এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ১৫ ফুটের কাছাকাছি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে রাতভর নবান্নে থেকেই গোটা বিষয়টি মনিটরিং করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগের মোকাবিলায় প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা জেলায় জেলায় রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টার জন্য নবান্নে হেল্পলাইন নম্বর (০৩৩) ২২১৪৩৫২৬ চালু করা হয়েছে। যেকোনও ধরনের সমস্যায় যে কেউ ফোন করতে পারেন।