শেষ আপডেট: 19th June 2024 08:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শহরবাসীদের সুবিধায় প্রায় ২০ দিন ধরে রাত ১১ টা পর্যন্ত চলছে মেট্রো। কিন্তু স্পেশাল নাইট সার্ভিসে যাত্রীরই দেখা মিলছে না। বিশেষ লাভের মুখ দেখছে না কলকাতা মেট্রো। তবে কি বন্ধের মুখে রাতের মেট্রো পরিষেবা?
লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে সোমবার থেকে শুক্রবার রাতে বিশেষ মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। গত ২৫ মে থেকে দমদম ও কবি সুভাষ উভয় প্রান্তিক স্টেশন থেকে রাত ১১ টায় শেষ মেট্রো ছাড়ছে। কিন্তু বেশিরভাগ দিনই জোড়া মেট্রো ফাঁকা থাকে। রাত করে বাড়ি ফেরা কিছু অফিসকর্মীকেই নিয়েই ছোটে ট্রেন।
এদিকে মেট্রো স্টেশনে ঢোকার অধিকাংশ গেটও থাকে বন্ধ। ফলে অনেকেই প্রবেশদ্বার খুঁজে না পেয়ে ফিরেও যান। দেখা যাচ্ছে আপ-ডাউন মিলিয়ে দুটি মেট্রোয় দিনে গড়ে ৬০০ জন করে যাত্রী হচ্ছে। টিকিট থেকে রোজগার হচ্ছে ৬০০০ টাকা। আর এখানেই এই পরিষেবা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
মেট্রোর স্পেশাল নৈশ-পরিষেবা চালাতে দিনে মেট্রোর খরচ হয় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এক একটির জন্য ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা করে দৈনিক খরচ। এছাড়া আরও প্রায় ৫০ হাজার টাকার অন্যান্য খরচ রয়েছে। এই নৈশ পরিষেবার কর্মযজ্ঞের জন্য দিনে মেট্রোর ৩ লাখ ২০ হাজার টাকার কাছাকাছি খরচ হচ্ছে । কিন্ত যাত্রীর দেখা নেই। দুটি স্টেশনের রাতের মেট্রোর আয় হচ্ছে দিনে প্রায় ৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ, ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ করে ঘরে ঢুকছে ৬ হাজার টাকা। প্রতি দিনের হিসেবে ৩ লাখ ১৪ হাজার টাকার ঘাটতি।
শহর কলকাতার অন্যতম লাইফলাইন হল মেট্রো পরিষেবা। করোনা অতিমারীর আগে শেষ মেট্রোর সময় ছিল রাত ৯.৫৫ মিনিট। কিন্তু তারপর সেই সময় এগিয়ে আসে। দমদম ও কবি সুভাষ থেকে শেষ মেট্রোর সময় হয় ৯.৪০ মিনিট। রাতের যাত্রীদের কথা ভেবেই রাত ১১টায় এই বিশেষ এক জোড়া মেট্রো পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে লাভের মুখ দেখছে না কর্তৃপক্ষ। কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, যাত্রীদের জন্য মেট্রোর নাইট সার্ভিস চালু করা হলেও, এখনও পর্যন্ত আশানুরূপ সাড়া মেলেনি।