শেষ আপডেট: 14th February 2025 17:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতা শহর থেকে ট্রাম উঠে যাওয়ার খবরে মন খারাপ বাঙালির। ইতিমধ্যে অধিকাংশ রুটে ট্রাম চলাচল বন্ধও হয়ে গেছে। বর্তমানে শুধুমাত্র শ্যামবাজার থেকে ধর্মতলা ও গড়িয়াহাট থেকে ধর্মতলা, এই দুটি রুটে যাত্রীবাহী ট্রাম চলে। তবে নতুন রূপে ট্রামকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে! হ্যাঁ, খবর এমনটাই।
একটি বগি, দুটি ইঞ্জিন। 'জয়রাইড' হিসেবে এবার ট্রাম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে একাধিক রুটে নয়, এটি চলবে মাত্র একটি রুটে। এসপ্ল্যানেড থেকে ময়দান হয়ে ভিক্টোরিয়া পর্যন্ত চালানোর ভাবনা নেওয়া হয়েছে এই ট্রামকে। বগির আগে এবং পিছনে দুটি ইঞ্জিন থাকার কারণে এই ট্রামকে ঘোরাতে হবে না। আপাতত যা খবর, নোনাপুকুর ট্রাম ডিপোতে এই 'জয়রাইড' তৈরি করা হচ্ছে।
তথ্য বলছে, একসময় কলকাতায় গমগম করে ট্রাম চলত ২৭-২৮টি রুটে। বছর ১৫ আগেও এক ডজন রুটে সচল ছিল ট্রাম। ট্রামের টিংটিং ঘণ্টিতে, কাঠের সিটে, শেষ আসনে বসে খাওয়া বাদামভাজার খোলসে যে কত সুখদুঃখ-হাসিকান্না জমে আছে, তার ইয়ত্তা নেই। দেড় শতক ধরে শহরের নস্টালজিয়া বহন করা সেই ট্রাম নিয়েই ইদানিং অভিযোগের অন্ত নেই।
প্রায়ই অভিযোগ ওঠে, ট্রামলাইনের জন্য দুর্ঘটনা ঘটার। জনসংখ্যার তুলনায় রাস্তা অনেক কম। সময়ের সঙ্গে মানুষের ব্যস্ততাও যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ফলে কালো ধোঁয়া উড়িয়ে, জোরালো শব্দ করে, গাঁকগাঁক করে ছুটে চলা গতির যুগে বড্ড বেমানান ট্রাম। তার শ্লথ গতি, বড়সড় চেহারা, নিজের পথে নিজের মতো দূষণহীন চলা-- এসবই যেন বড় বিড়ম্বনার কারণ। তাই শেষমেশ ট্রামকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
যদিও এই ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হলে আদালত বলেছিল, ট্রামকে এভাবে তুলে ফেলা যাবে না। বাঁচিয়ে রাখতে হবে শহরের এই ঐতিহ্যকে। 'জয়রাইড'ই সেই বাঁচানোর পথ কি?