শেষ আপডেট: 10th January 2025 20:04
১৯৬৪ সালে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের নীচে নিকাশিনালা তৈরি করেছিল কেএমডিএ বা কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। ৬ ফুট উঁচু এই নালার ভিতর আবার প্রায় তিন থেকে চার ফুট উঁচু পাঁচিল রয়েছে। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ পুরসভার কর্তাদের।
ঘটনার সূত্রপাত, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের ভূগর্ভস্থ নিকাশির পলি তুলতে গিয়ে। শেষবার পলি তোলা হয়েছিল প্রায় ৬০ বছর আগে। যার জন্য মাটির তলায় যে এই অবস্থা হয়ে আছে, তার কোনও ধারনাই হয়নি পুরকর্তাদের। ছকে দেখলে বোঝা যাবে, প্রত্যেকটি পাঁচিল অনেকটা চৌবাচ্চার মতো। একটা নয়, একাধিক।
নিকাশিনালার এই পাঁচিলগুলির প্রতিটিতে প্রচুর পরিমাণে পলি জমে থাকায় এতদিন শহরের নিকাশিতে সমস্যা হত বলে মনে করছেন পুরকর্তারা। তাঁদের কথায়, এগুলোই এতদিন জল যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করে এসেছে।
এই পাঁচিলগুলি ভাঙতে গিয়েই কার্যত নাকানিচোবানি খাচ্ছেন পুরকর্মীরা। কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগ বলেছে ইতিমধ্যেই ১৫টিরও বেশি পাঁচিল ভাঙা হয়েছে। এরকম আর কতগুলো পাঁচিল রয়েছে সে ব্যাপারে জানা না গেলেও দ্রুত সব ক'টি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই কাজ কবে হবে তা এখনও বলতে পারছে না।
ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, যেহেতু এত বছর ধরে পাঁচিলগুলি জল-কাদায় রয়েছে তাই স্বাভাবিকভাবেই শ্যাওলাও জমেছে। পুরু স্তর তৈরি হয়েছে। যার কারণে পাঁচিল ভাঙতে এত ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে।
৬০ বছর আগে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির তৈরি এই নিকাশির 'জিরো ডিসিল্টিং' হয়নি আজ অবধি। যে কারণে পলি জমে যাচ্ছেতাই অবস্থা হয়ে আছে বলে জানাচ্ছেন পুরকর্তারা।
বৃষ্টি হলেই আনোয়ার শাহ রোড সংলগ্ন এলাকায় জল জমে যায়। যার জেরে চরম ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকে। প্রায় ২ কিলোমিটার অংশ থেকে সম্পূর্ণ পলি তুলে ফেললে এই সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করে খনন কাজ শুরু করা হয়। আর তাতেই নির্দিষ্ট দূরত্বে একের পর এক পাঁচিলের অস্তিত্ব মেলে।
বিভাগীয় এক কর্তার কথায়, কোথাও সাড়ে তিন ফুট, কোথাও চার ফুটের পাঁচিল রয়েছে। সেগুলি কোথাও খানিকটা ভাঙা, কোথাও আস্ত। যে কারণে নালার দু'-আড়াই ফুট ফাঁকা অংশ দিয়ে জল যেত। অনেকগুলো পাঁচিল ভাঙা হয়েছে। যাদবপুর থানা পর্যন্ত কাজ হবে বলেও জানানো হয়েছে।