শেষ আপডেট: 27th September 2024 15:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এখন জেলবন্দি। চিকিৎসক ধর্ষণ-খুন এবং আর্থিক দুর্নীতি দুই ইস্যুতেই তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। এখন কি তাঁর কলকাতার বাড়িও ভাঙা হবে? প্রশ্ন উঠছে কারণ সেই বাড়িতে গেছে কলকাতা পুরসভার নোটিস। অভিযোগ, বাড়ির একটা অংশ তিনি বেআইনিভাবে নির্মাণ করেছেন।
সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়ি নিয়ে এই অভিযোগ উঠেছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর কলকাতা পুরসভার তরফে সন্দীপের বাড়িতে নোটিস পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ওই বাড়ি খতিয়ে দেখতে যাবেন কয়েকজন আধিকারিক। আদৌ বাড়ির কোনও অংশ অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করবেন তাঁরা। যদি প্রমাণ মেলে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বাড়ি ভাঙার বিষয়ে।
সিবিআই-এর পাশাপাশি ইডিও সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। ইতিমধ্যে সন্দীপ এবং তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতার একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে তাঁরা। উদ্ধার হয়েছে অসংখ্য নথি। সে সব ঘেঁটে জানা গেছে, মুর্শিদাবাদে একটি এবং কলকাতায় তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে সন্দীপ-সঙ্গীতার। এছাড়াও, কলকাতায় দু'টি বাড়ি রয়েছে তাঁদের। একটি খামারবাড়িরও সন্ধান মিলেছে।
অগস্ট মাসের ৯ তারিখে ডাক্তারি ছাত্রী খুনের সূত্র ধরেই সামনে এসেছে আরজি কর মেডিক্যালের বিস্তর দুর্নীতির প্রসঙ্গও। তারপর থেকেই স্ক্যানারে রয়েছে সন্দীপ ঘোষ। এখন তাঁর বেলেঘাটার বাড়ি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু বাকি সম্পত্তির বিষয়ে এখনও নতুন কোনও তথ্য সামনে আসেনি। তা এলে যে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের চাপ আরও বাড়বে তা বলাই বাহুল্য।
সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থের অপচয়, ভেন্ডর নির্বাচনে স্বজন পোষণ, চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ ছাড়াও বায়োমেডিকেল ওয়েস্ট বিক্রির অভিযোগ করেছিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। তারপরই একে একে গ্রেফতার হন সন্দীপ সহ চারজন। আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে অভিযান করছে ইডিও।