শেষ আপডেট: 15th January 2025 19:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাঘাযতীনের বহুতল হেলে পড়ার ঘটনায় নির্মাণকারী সংস্থার মালিক সহ ৮ টি ফ্ল্যাটের মালিক ও ফ্ল্যাটের প্রমোটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। ইতিমধ্যে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকেও নেতাজি নগর থানায় ৭টি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। যার মধ্যে ৪টি কেএমসি অ্যাক্ট এবং তিনটি মামলা ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতের পর বুধবার সকাল থেকে ফের হেলে পড়া ফ্ল্যাটবাড়ি ভাঙার কাজ চলছে। কেন এমন ঘটনা ঘটল তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে স্থানীয় বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার বলেন, কলোনি এলাকায় কোনও ফ্ল্যাট-বাড়িরই অনুমোদন নেই। সিপিএম আমলে এমন অনেক বাড়িই তৈরি হয়েছিল। আর বাড়িটিতে যে কাজ করা হচ্ছিল সেই বিষয়ে জানতেনই না স্থানীয় কাউন্সিলর বা পুরসভার কেউ। সূত্রের খবর, পুরসভাও জানিয়েছে, অভিযুক্তরা প্রশাসনকে না জানিয়ে বাড়ি নির্মাণ করেছিল। এমনকী মাটির পরীক্ষা না করেই চলছিল হাইড্রোলিক জ্যাকের কাজ।
বাঘাযতীন এলাকায় ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যাসাগর কলোনিতে এই বহুতল আচমকাই ধসে একদিকে হেলে পড়ে। ২০১২ সালে তৈরি হয়েছিল এই বাড়িটি। সেই প্রেক্ষিতেই অভ্যন্তরীণ তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত ১০ নম্বর বোরো আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখবে তাঁরা। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট নির্মাণকারী সংস্থাকেই দায়িত্ব নিতে হবে ফ্ল্যাট মালিকদের পূনর্বাসনের।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, মাসখানেক আগে ওই ফ্ল্যাটবাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছিল। তারপর থেকেই বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়েছিল বাড়িটি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ১০-১২ বছর আগে জলাভূমি ভরাট করে বেআইনি ভাবে ওই বহুতল নির্মাণ করা হয়েছিল। চারতলা বাড়ি নির্মাণের অনুমোদনও ছিল না বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, জল জমার সমস্যা দূর করতে হাইড্রোলিক জ্যাক দিয়ে বাড়িটি উঁচু করা হচ্ছিল। তার জেরে বাড়িটির গ্রাউন্ড ফ্লোরের চাঙড় উঠে যায়। ফলে এই বিপত্তি।
বাঘাযতীনের বিস্তীর্ণ এলাকা একদা জলাজমি ছিল। সেখানে পুকুর বা জলাজমি ভরাট করে প্রমোটারির ডজন ডজন অভিযোগ রয়েছে। তাই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, প্রমোটার পাইলিংয়ের কাজ ভাল করে করেনি। বা কমদামি কিংবা নিকৃষ্টমানের সামগ্রী দিয়ে এই বহুতল তৈরি করেছিলেন। কিন্তু ক্রমশ প্রকৃত ঘটনা সামনে আসে। ঘটনার পর থেকেই অবশ্য ওই বহুতলের প্রোমোটার সুভাষ রায় ফেরার। তাঁর খোঁজ চলছে।