শেষ আপডেট: 30th January 2025 15:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডের হেলে পড়া বাড়ি ভাঙতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। ফ্ল্যাট মালিকরা জানিয়েছেন, তাঁরা বাড়ি কিছুতেই ভাঙতে দেবেন না, অন্তত পুরসভার থেকে অন্যত্র থাকার জায়গার বন্দোবস্ত সংক্রান্ত লিখিত কিছু না পেলে তো নয়ই। এই ইস্যুতে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয় ট্যাংরায়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের ক্রিস্টোফার রোড এলাকার সাদা বাড়ি ভাঙার কাজ শুরুর কথা ছিল পুরসভার। কিন্তু সেই কাজে সেখানে গেলে শুরু হয় বিক্ষোভ। মূলত মহিলারাই আবাসনের গেট বন্ধ করে দেন। তাঁদের বক্তব্য, এই মুহূর্তে আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তাঁদের! তাহলে তাঁরা কীভাবে বাড়ি ভাঙতে দেবেন। বিতর্কিত বাড়ির পাশের আবাসনের বাসিন্দারাও এই বিক্ষোভে সামিল হন।
বাড়ি ভাঙাকে কেন্দ্র করে অশান্তি হতে পারে এমন আঁচ পেয়েছিল কলকাতা পুরসভা। তাই তাঁদের কর্মীদের সঙ্গে ট্যাংরা থানার পুলিশকেও ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। বরং পুলিশের বিরুদ্ধে অভব্য আচরণের অভিযোগ তোলা হয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি এতটাই উত্তেজক হয়ে উঠেছে যে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ফ্ল্যাট মালিকরা। তাঁরা কিছুতেই আবাসন ছেড়ে যেতে চাইছেন না।
বহুতলের এক বাসিন্দা আগেই জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমে যা দেখাচ্ছে সেইটুকুই তাঁরা বাড়ি ভাঙা সম্পর্কে জানেন। আলাদা করে পুরসভার তরফে তাঁদের কিছু জানানো হয়নি বা নোটিস দেওয়া হয়নি। এদিকে আগামী সোমবার এই ভাঙার কথা ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছিল। কিন্তু বুধবার এই সংক্রান্ত বৈঠকের পরই আজ থেকে বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। কেন এই ব্যাপারটা তাঁদের জানানো হল না, কেন আচমকা বাড়ি ভাঙার কাজ আগে থেকে শুরু করা হল, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অন্য বাসিন্দারা।
হেলে পড়া বাড়ির ঘটনায় ইতিমধ্যে ট্যাংরা থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে প্রোমোটারের বিরুদ্ধে। তবে কীভাবে ওই নির্মীয়মাণ বহুতল হেলে পড়ল তা এখনও জানা যায়নি। এই আবাসন ভাঙার নির্দেশ আগেই দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। তা শোনার পর কার্যত অথৈজলে পড়েছেন বাসিন্দারা।