শেষ আপডেট: 26th October 2024 21:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করের আন্দোলনের নামে কি টাকা তুলছেন জুনিয়র ডাক্তাররা? এই প্রশ্ন এর আগে তুলেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। শনিবার ডক্টরস ফ্রন্টের পাল্টা তৈরি সংগঠন থেকেও দাবি করা হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা তোলার। এবার একই দাবি করে প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তারদের নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কটাক্ষ, এঁরা তো ক্ষমতায় এলে দেশ বেচে দেবে!
ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের বিরুদ্ধে পাল্টা সংগঠন গড়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদেরই একাংশ। সেই ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে শনিবার দাবি করা হয়, নির্যাতিতার বিচারের নামে ৪.৭৫ কোটি টাকা তুলেছেন অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদার, কিঞ্জল নন্দরা। তাঁদের এই দাবিতে হইচই শুরু হয়েছে। এবার আসরে নামলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ডাক্তারদের উদ্দেশ্য করে বললেন, 'একটা আন্দোলন থেকেই ৫ কোটি টাকা তুলে নিলেন। ক্ষমতায় এলে তো দেশ বিক্রি করে দেবেন!'
৯ অগস্টের পর থেকে কলকাতা সহ রাজ্যজুড়ে যে আন্দোলন হয়েছে তাতে শুধু জুনিয়র বা সিনিয়র ডাক্তাররাই ছিলেন না। পথে নেমে প্রতিবাদে সামিল হতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিশিষ্টদের। রাত দখলের কর্মসূচি থেকে শুরু করে দ্রোহের কার্নিভাল, সবেতেই দেখা গেছে জনতার ভিড়। কল্যাণের প্রশ্ন, তাহলে কি টাকা দিয়েই লোক আনা হত? টাকা দিয়েই বিভিন্ন ব্যানার, পোস্টার, লিফলেট তৈরি করা হত? জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ আনলেন তৃণমূল সাংসদ। প্রশ্ন তুললেন তাঁদের আন্দোলনের পন্থা নিয়েও।
জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে শ্রীশ চক্রবর্তীর অভিযোগ ছিল, রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অরাজকতা তৈরি করা হচ্ছে বিচারের নামে। তিনি এও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তাঁদের বলা হয়েছিল নটোরিয়াস ক্রিমিনাল! আর যারা নির্যাতিতা দিদির বিচারের নামে ৪.৭৫ টাকা তুলেছে। ওরা কি নটোরিয়াস ক্রিমিনাল নয়? প্রশ্ন তাঁর। বস্তুত, ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের আন্দোলনের জেরে সম্প্রতি আরজি করে বসেছিল তদন্ত কমিটি। তাঁরা ৫৩ জনকে সাসপেন্ড করে। শ্রীশ চক্রবর্তী তাঁদেরই অন্যতম।
জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে আগেও। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন, ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ২ কোটি টাকা রয়েছে। কোথা থেকে এল এতে টাকা? কারা আন্দোলনকে বাঁচিয়ে রাখতে টাকা ঢালছে? এইসব প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য ছিল, যে যে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে তদন্তের আওতায় আনা প্রয়োজন।
এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি ডক্টরস ফ্রন্টসের অন্যতম মুখ অনিকেত, কিঞ্জলরা। তাঁদের শুধু বক্তব্য, গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ সংগঠন খুলে তাঁদের কথা বলতেই পারে। তবে কী উদ্দেশে, কারা এই সংগঠন খুলছে তা দেখা প্রয়োজন। কিঞ্জলের কথায়, মানুষকে বিচার করে দেখতে হবে তাঁরা কীসের পক্ষে আছেন। বিচার, ন্যায়ের নাকি থ্রেট কালচারের।