শেষ আপডেট: 20th September 2024 21:53
প্রীতি সাহা
অবশেষে ৪২ দিন পর ধর্না প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আগামীকাল শনিবার থেকেই তাঁরা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হবেন। নির্যাতিতার স্মৃতিতে আরজি করের সামনে বসানো হবে প্রতীকি মূর্তিও।
একই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি ও প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে ফের কর্মবিরতিতে নামতে পারেন তাঁরা।
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, "আমাদের চোখ থাকবে ২৭ তারিখ সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকে। তার মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা কিন্তু আবারও ধর্না অবস্থানে ফিরতে পারি। তখন কিন্তু আরও তীব্রতর প্রতিবাদ নিয়ে আমরা রাজপথে ফিরব।"
এদিন স্বাস্থ্য ভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত প্রায় ৪ কিমি পথ হেঁটে দ্রুত বিচারের দাবিতে সিবিআইয়ের কার্যালয়ের সামনে স্লোগান তোলের আন্দোলনকারীরা। তাঁরা জানিয়ে দেন, আর পাঁচটা ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনা গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা যেন না হয়। দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
পরে সেখান থেকে আরজি করে ফিরে সাংবাদিক বৈঠক থেকে জুনিয়র চিকিৎসকরা জানান, মানুষের কথা ভেবে আগামীকাল শনিবার থেকে তাঁরা এমার্জেন্সি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হবেন। তবে নজর রাখবেন সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতির দিকে। একই সঙ্গে রাজ্যের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণের দিকেও তাঁরা লক্ষ্য রাখছেন বলে জানান।
গত ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে ডাক্তারি ছাত্রীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। কর্মস্থলে খুন-ধর্ষণের প্রতিবাদে সেদিন থেকেই ধর্না অবস্থানে বসেছিলে্ন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এমনকী সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও পরিস্থিতির বদল ঘটেনি। ধর্নাস্থলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সোমবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বৈঠক হয়েছিল। সেখানে ডাক্তারদের দাবি মেনে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। তবে কর্মবিরতি তোলার কথা থাকলেও তোলেননি ডাক্তাররা।
বরং প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে টাস্ক ফোর্স গঠন , সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বাকি বিষয়গুলি পূরণের দাবিতে বুধবার সকালে ফের নবান্নে চিঠি দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই দাবি মেনে বুধবার জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। হাসপাতালের সুরক্ষায় বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফে স্বাস্থ্য দফতরের উদ্দেশে একটি বিশেষ নির্দেশিকাও জাারি করা হয়। যাতে আন্দোলনকারীদের বেশিরভাগ দাবি পূরণের কথা বলা হয়। এরপরই আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।