শেষ আপডেট: 4th October 2024 08:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে দ্বিতীয়বার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মূলত তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার যে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর তাঁরা প্রথম কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছিলেন, তা পূরণ হচ্ছে না। কিন্তু এই দ্বিতীয়বারের কর্মবিরতির কি দরকার ছিল, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে দফায় দফায় সিনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন জুনিয়ররা। কর্মবিরতির বিকল্প হিসেবে কী করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাহলে কি শুক্রবার কোনও সিদ্ধান্তে আসবেন তাঁরা?
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার কিছু পর জিবি বৈঠকে বসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অর্থাৎ প্রায় ১২ ঘণ্টা এই বৈঠক চলে। কর্মবিরতির না করে কী বিকল্প পথে আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেননি তাঁরা। সূত্রের খবর, জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ কর্মবিরতি তুলতে চান। কর্মবিরতি তুলতে চাপ দিচ্ছেন সিনিয়র ডাক্তারদের একাংশও। সেক্ষেত্রে পূর্ণ কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা সরে আসেন কিনা, সেটা দেখার বিষয়ে।
আরজি কর কাণ্ডের মধ্যে অনেকেই 'উৎসবে ফিরব না' বলে বার্তা দিচ্ছিলেন। বিশেষত, সোশ্যাল মাধ্যমে রীতিমতো ঝড় বইছিল। কিন্তু মহালয়ার দুপুর থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। মূলত মহালয়ার সন্ধে থেকেই প্রতিমা দর্শনে পথে নেমেছে জনতা! বিষয়টি টের পাচ্ছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরাও। তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত আন্দোলনরতরা। মানুষ পাশে না থাকলে যে আন্দোলন বেশি দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না, তা বেশ বুঝতে পারছেন তাঁরাও।
জুনিয়র ডাক্তাররা নতুন করে যে ১০ দফা দাবি করেছেন, তার মধ্যে রয়েছে 'থ্রেট কালচার'-র বিরুদ্ধে পদক্ষেপ। এদিকে গত রাতেই সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ আশিস পাণ্ডেকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। অর্থাৎ তাদের দাবি অনুযায়ী যে পদক্ষেপ হচ্ছে না, সেটাও বলতে পারবেন না জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিকে সামনে পুজো। ইতিমধ্যে রাস্তায় মানুষের ঢল দেখা যাচ্ছে। তাই পুজোর মধ্যে কর্মবিরতির বা আন্দোলন জিইয়ে রাখা যে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে তাও স্পষ্ট।
ফলে দ্বিতীয় দফার কর্মবিরতি নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত জুনিয়র চিকিৎসকরা। শুক্রবার কোনও সিদ্ধান্ত তাঁরা নেন কিনা, সেটাই এখন দেখার।