শেষ আপডেট: 18th October 2024 07:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নিজেদের ১০ দফা দাবির বিষয়ে সাধারণ মানুষের মতামত নিতে ‘গণস্বাক্ষর সংগ্রহ’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় এই কর্মসূচি হয়েছে। ধর্মতলার চার প্রান্তের চারটি জায়গায় এই স্বাক্ষর নেওয়ার কাজ চলে। এবার গ্রামে গ্রামে গিয়েও 'গণস্বাক্ষর' নেওয়ার ভাবনায় রয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের আন্দোলনকে আরও বড় করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ হতে পারে।
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সব মহল কার্যত সমর্থন করছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিশিষ্টরা, তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। তাই আমজনতার স্বতস্ফূর্ত সমর্থন দেখে আগামী দিনে আরও বড় কর্মসূচির চিন্তাভাবনা নিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। গ্রামে গ্রামে গিয়ে এই 'গণস্বাক্ষর' নেওয়ার মূল কারণ, তাঁদের আন্দোলনকে মানুষের আরও কাছে পৌঁছে দেওয়া। যদিও এই কর্মসূচি কবে থেকে শুরু হবে বা তার রূপরেখা কী হবে, তা এখনও স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি।
১০ দফা দাবি নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হলেও জুনিয়র ডাক্তাররা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যের সদিচ্ছাই নেই সমস্যা সমাধানের। এদিকে নবান্নের তরফে বারবার বলা হয়েছে, তাঁরা সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে। কারণ যাই হোক, বিষয়টির সুরাহা এখনও মেলেনি। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আন্দোলনের ঝাঁজ আরও বাড়াতে চান প্রতিবাদী চিকিৎসকরা।
গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় অনশন শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ইতিমধ্যে একাধিক ডাক্তার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও অনশন থমকে যায়নি। বরং কেউ না কেউ অনশনে নতুন করে যোগ দিচ্ছেন। এতএব একটা বিষয় স্পষ্ট, এই আন্দোলনকে সহজে স্তব্ধ করতে দেবেন না জুনিয়র ডাক্তাররা। বরং আগামী দিনে এমন কিছু করার ভাবনায় তাঁরা রয়েছেন যাতে এই আন্দোলনের আরও বিস্তৃতি ঘটে। সেই জন্যই 'গণস্বাক্ষর' নিয়ে আলাদা ভাবনা।
এই কর্মসূচি নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা ইতিমধ্যেই বলেছেন, নিজেদের দাবির বিষয়ে সাধারণ মানুষকে অবহিত করাই তাঁদের লক্ষ্য। অনেকে ধর্মতলায় এলেও প্রতিবাদী বা অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন না। কিন্তু তাঁরা আমজনতার কথা শুনতে চায়। সেই ভাবনা থেকেই এই কর্মসূচি। তাই শুধু শহরেই আটকে থাকতে চান না তাঁরা। আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে চান গ্রামে গ্রামে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন, আরজি কর ইস্যুতে যে প্রতিবাদ কলকাতায় চলছে তার সেরকম প্রভাব গ্রামে বা রাজ্যের প্রান্তিক এলাকায় নেই। তাই তাঁদের অনুমান, আন্দোলনকে আরও তীব্রতর করতে এবং রাজ্যের প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে দিতেই 'গণস্বাক্ষর' নেওয়ার ভাবনা নিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, আগামী মাসেই রাজ্যে বিধানসভা উপনির্বাচন রয়েছে ৬টি কেন্দ্রে। এই পরিস্থিতির মধ্যে ডাক্তারদের এই কর্মসূচি হলে তা কেমন প্রভাব ফেলে সেটাই দেখার বিষয়।