মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জুনিয়র ডাক্তার
শেষ আপডেট: 22nd October 2024 12:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর হাসপাতালে কীভাবে দুর্নীতি হয়েছে বিস্তারিত জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১৩৭ পাতার নথি জমা দিলেন জুনইর ডাক্তাররা। শুধু তাই নয়, কীভাবে ঘনিষ্ঠদের হাসপাতালের টেন্ডার দিতেন সন্দীপ ঘোষ, মৃতদেহ নিয়ে দুর্নীতির মতো একাধিক অভিযোগও লেখা হয়েছে অভিযোগপত্রে।
আরজি করে দুর্নীতির ভুরি ভুরি অভিযোগ তুলে বলা হয়েছে, বেশি দাম দেখিয়ে হাসপাতালের যন্ত্রাংশ কিনেছেন সন্দীপ ঘোষ। দামি দামি চিকিৎসার সরঞ্জাম, অত্যাধুনিক ল্যাব প্রস্তুত করার বরাত পায় মা তারা ট্রেডার্স নামে এক সংস্থা।
দেখা গেছে এই সংস্থাই আবার সাবান, ফ্লোর ক্লিনার, দেয়ালের পর্দা থেকে শুরু করে চিরুনি, টুথব্রাশ, পেস্টেরও টেন্ডার পেয়েছে। অর্থাৎ এখানেই জুনিয়র ডাক্তাররা বেনিয়মের প্রসঙ্গ তুলেছেন।
তাঁরা আরও জানিয়েছেন, করোনার সময় পৌনে ২ লক্ষ টাকার যন্ত্র কেনা হয়েছে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায়। এছাড়াও মৃতদেহ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগও তুলে ধরা হয়েছে অভিযোগপত্রে।
আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি এই সমস্ত তথ্য একাধিকবার রাজ্য সরকারের তদন্তকারী প্রতিষ্ঠানকে জমা দিয়েছিলেন। জানানো হয়েছিল স্বাস্থ্য ভবনকেও। এমনটাই দাবি করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের 'সব দেখেও চোখ বুজে থেকেছে' বলে অভিযোগ করছেন তাঁরা।
এসবের কারণেই এতদিন ধরে হাসপাতালে বেনিয়ম, দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে। এই যাবতীয় তথ্য সামনে এনে জুনিয়র ডাক্তাররা খোলসা করেছেন যে সেই কারণেই তাঁরা একাধিক স্বাস্থ্য আধিকারিকের অপসারণ চেয়েছেন।