শেষ আপডেট: 16th January 2025 18:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে বিষাক্ত স্যালাইন-কাণ্ডে চিকিৎসকদের উপরেই দায় চাপিয়েছে রাজ্য সরকার। আজ নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন সিনিয়র এবং জুনিয়র চিকিৎসক-সহ মোট ১২ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ চিকিৎসকদের একাংশ।
অন্যদিকে, একই দিনে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার আসফাকুল্লা নাইয়ার কাকদ্বীপের বাড়িতে হানা দিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। যার প্রতিবাদে সরব জুনিয়র চিকিৎসকরা। আর তাই আজ আরজি কর মেডিক্যাল থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল রয়েছে তাঁদের।
বস্তুত, মেদিনীপুরে প্রসূতি-মৃত্যু কাণ্ডে সিআইডি তদন্তের পাশাপাশি সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সাংবাদিক বৈঠক করে সে অবস্থান স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ওই বিভাগের আরএমও ডক্টর সোমেন দাসকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সিআইডি এর পরে বাকি তদন্ত করবে বলেও জানান তিনি।
সেই সঙ্গে ডক্টর দিলীপ কুমার পাল, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডক্টর হিমাদ্রী নায়েক, ডক্টর মহম্মদ আলাউদ্দিন, ডক্টর জয়ন্ত কুমার রাউত (এমএসভিপি), ডক্টর পল্লবী ব্যানার্জী (সিনিয়র আরএমও), ডক্টর মৌমিতা মণ্ডল (পিজিটি) ডক্টর ভাগ্যশ্রী কুণ্ডু (পিজিটি), ডক্টর সুশান্ত মণ্ডল (ফার্স্ট ইয়ার পিজিটি), ডক্টর পূজা সাহা (ফার্স্ট ইয়ার পিজিটি), ডক্টর মনীশ কুমার (ফার্স্ট ইয়ার পিজিটি), ডক্টর জাগৃতি ঘোষ (সেকেন্ড ইয়ার পিজিটি)- সবাইকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সবার নাম করে করে তাঁদের গাফিলতি চিহ্নিত করেন নবান্নের বৈঠকে।
মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, বিষাক্ত ওষুধের প্রসঙ্গ 'এড়িয়ে' ডাক্তারদের ওপর দোষ চাপানোয় বেজায় চটেছেন চিকিৎসকদের একাংশ। আবার, 'বিশেষজ্ঞ না হয়েও স্পেশালিস্ট হিসেবে প্রাইভেটে রোগী দেখছেন', এই অভিযোগে বৃহস্পতিবারই জুনিয়র ডাক্তার আসফাকুল্লা নাইয়ার কাকদ্বীপের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় বিধাননগর কমিশনারেট। এই গোটা ব্যাপারটাকে ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদ করায় প্রতিহিংসার শিকার বলেই দেখছেন অনেক চিকিৎসক।
তাই এই দুই ঘটনার প্রতিবাদে আরজি কর মেডিক্যাল থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল কোর্টে চলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।