মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনিকেত মাহাতো
শেষ আপডেট: 21st October 2024 18:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কাণ্ডের পর থেকে সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচার তথা হুমকির সংস্কৃতি নিয়ে লাগাতার সমালোচনা হচ্ছে। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে সেই অভিযোগ টেবিলে তাঁর এনে ফেললেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সেই বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তারদের ফোরামের অন্যতম নেতা অনিকেত মাহাতো এও অভিযোগ করেন যে, সরকারি মেডিকেল কলেজগুলিতে রীতিমতো শ্লীলতাহানির শিকার হচ্ছেন মহিলা পড়ুয়াদের একাংশ।
বৈঠকে অনিকেত বলেন, কেন আমরা বিভিন্ন মনিটরিং কমিটি গঠনের কথা বলছি, কেন কলেজ স্তরে নজরদারি কমিটিতে পড়ুয়া চিকিৎসকদের প্রতিনিধিত্বের দাবি করছি, তার একটা কারণ রয়েছে। অনিকেতের কথায়, এর কারণ হল সরকারি মেডিকেল কলেজগুলিতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে মহিলা পড়ুয়াদের অনেকেই নরক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে।
অনিকেত বলেন, আমার এখানেও বলতেও সংকোচ হচ্ছে। কিন্তু ঘটনা হল, আরজি কর মেডিকেল কলেজে শ্লীলতাহানির ঘটনাও ঘটেছে। তা ছাড়া ভয় দেখিয়ে, জুলুম করে টাকা তোলা, চাঁদা আদায়ের অভিযোগ তোই। কলেজে পড়তে যাওয়ার ন্যূনতম পরিবেশটুকু সেখানে ছিল না।
অনিকেত যখন এ কথাগুলি বলছিলেন, তখন মন দিয়ে তা শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে তাঁর সঙ্গে ছিলেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার প্রমুখ।
অনিকেত বলেন, হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসকদের এই যে নরক যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছিল তা থেকে নিস্তার পাওয়ার কোনও পথ ছিল না। কোথায় গিয়ে অভিযোগ জানাবে, কীভাবে জানাবে তার পরিবেশও ছিল না। এমন নয় যে তাঁরা অভিযোগ জানাননি। কলেজের ডিন বা এমএসভিপির কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু জবাবে এও শোনা গেছে যে, আপনার বিরুদ্ধেই তো অত্যাচার করার অভিযোগ রয়েছে।
অনিকেতের আগে এদিনের বৈঠকে থ্রেট কালচারের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠনের নেতা কিঞ্জল নন্দ। সোমবার ঘটনাচক্রে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজে অশান্তির ঘটনা ঘটে। কিঞ্জল সে কথা তুলে ধরেন। পরে অনিকেতও বলেন, ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজে প্রিন্সিপালের ঘরের কাছে তালা মেরে রেখেছে। প্রিন্সিপালই যদি ঢুকতে না পারেন, তাঁর যদি এমন অসহায় অবস্থায় হয়, তাহলে ছাত্রদের কী অবস্থা ভেবে দেখতে হবে।