শেষ আপডেট: 21st October 2024 10:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ১৭ দিনে পড়ল জুনিয়র ডাক্তারদের 'আমরণ অনশন'। আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় অনশনে বসেছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে একাধিকজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁরা ছাড়া পেয়েছেন। কিন্তু অনশন মঞ্চে থাকা আরও অনেকেও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের এখন শারীরিক অবস্থার কী হাল?
যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তাঁরা ছাড়া পেলেও এখন আর নতুন করে অনশন শুরু করতে পারবেন না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়েছে, তাঁদের শরীর এখনও মারাত্মক দুর্বল। টানা বিশ্রামের দরকার। কিন্তু বাকিদের শরীর কেমন আছে? ধর্মতলার অনশন মঞ্চে এখনও এমন ডাক্তার রয়েছেন যারা শুরুর দিন থেকেই অনশনে। সিনিয়র চিকিৎসকরা সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, কারও অবস্থাই ভাল বলা যায় না। তবে স্থিতিশীল। শরীরের ওপর বিরাট চাপ পড়ছে ঠিকই, কিন্তু অল্প বয়স বলে তাঁরা সহ্য করে নিচ্ছেন।
এক সিনিয়র ডাক্তারদের কথায়, অনশনের ফলে লিভার, কিডনি তো বটেই, হার্ট এবং ব্রেনেও চাপ পড়ে। তাই জুনিয়র চিকিৎসকদের নিয়ে তাঁরা চিন্তিত। তবে অনশন মঞ্চ থেকে তাঁদের স্বাস্থ্য নিয়ে যে রিপোর্ট তাঁরা হাতে পেয়েছেন তাতে আপাতত তাঁরা সন্তুষ্ট। কারণ সেইভাবে জটিল রোগ কারও হয়নি বা নতুন করে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েননি। তবে এই ভাবে আর কতদিন জুনিয়ররা অনশন চালিয়ে যেতে পারবেন, তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সিনিয়র ডাক্তাররা।
সোমবারই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে যাবে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দল। বিকেল ৫টার এই বৈঠকে ১০ জনকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। তবে অনশন তুলে এই বৈঠকে যাওয়ার কথা বলা হলেও ডাক্তাররা অনশনরত অবস্থাতেই নবান্নে যাবেন। এদিন সকালে এক জুনিয়র ডাক্তার বলেছেন, অনেক আশা নিয়েই তাঁরা বৈঠকে যাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর তাঁদের আস্থা রয়েছে।
রবিবার ধর্মতলার অনশন মঞ্চ থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, সোমবার যথাসময়ে আমাদের প্রতিনিধি দল নবান্নে পৌঁছবে। তবে ১০ দফা দাবি না মানা হলে মঙ্গলবার থেকে সর্বস্তরে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সিনিয়র ডাক্তাররাও তাঁদের সঙ্গ দেবেন বলে দাবি করা হয়েছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে সোমবারের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আদৌ এই বৈঠক থেকে কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসে কিনা বা ডাক্তাররা অনশন প্রত্যাহার করেন কিনা, সেটা দেখার।