শেষ আপডেট: 15th August 2024 07:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একদিকে যখন আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মধ্যরাতে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ, সেই সময়ই আরজি কর হাসপাতালেই তাণ্ডবলীলা শুরু হয়। জরুরি বিভাগ ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। এমন উত্তেজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যে পুলিশ নিজেরাই লুকিয়ে পড়ে বলে দাবি। এদিকে আরজি করের আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ বলছে, তাঁদের দাবিয়ে দেওয়ার জন্যই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তবে তাঁরা ভয় পাচ্ছেন না।
বুধবার মধ্যরাতে যখন গোটা শহর রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে ঠিক তখনই আরজি করে একদম দুষ্কৃতী হামলা করে। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আক্রান্ত হন কয়েকজন পুলিশ কর্মীও। হামলাকারীরা ভাঙচুর করে পুলিশের একাধিক গাড়িতেও। এরপরই পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। নামানো হয় ব়্যাফও। তবে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের দাবি, পুলিশ নিজেদের বাঁচাতেই হাসপাতালের ভিতরে কোথাও কোথাও লুকিয়ে পড়ে। আর দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢুকে গিয়ে তাঁদের তো বটেই, রোগীর পরিবারদের, মহিলা কর্মীদেরও মারধর করে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসকরা।
তারা বলছেন, বাইরে থেকে হঠাৎ একদল লোক এসে হাসপাতালে ঢুকে পড়ে। আন্দোলনকারীদের ধর্না মঞ্চ ভেঙে দেয়, জরুরি বিভাগ ভাঙচুর করে। এমনকী ডাক্তারদের মারধরও করে। কিন্তু পুলিশকে সেই সময়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায়নি। বরং তাঁরা পালিয়ে নিজেরাই বাঁচার চেষ্টা করছিল। কারা এই হামলা চালানো, পুলিশই বা কেন কোনও ব্যবস্থা নিল না, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আচমকাই লাঠি, রড, পাথর নিয়ে একদল আরজিকরের সামনে চলে আসে। এরপরই শুরু হয় মারধর, ভাঙচুর। জখম হন বেশ কয়েকজন। অভিযোগ, পুলিশ শুরুতেই পদক্ষেপ নিলে এ ঘটনা ঘটতো না। রাতেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আরজি করে আসেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তিনি স্পষ্ট বলেন, "হামলাকারীদের কাউকে ছাড়া হবে না। যারা হামলা করেছে তাদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করা হবে।" এদিকে হামলার জন্য মিডিয়ার একাংশকেই দুষেছেন বিনীত গোয়েল। বলেন, মিডিয়ার একাংশের অতি সক্রিয়তা এবং সোশ্যাল মাধ্যমে ক্রমাগত গুজবের জেরেই এদিনের রাতের হামলার ঘটনা।
অন্যদিকে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তির দাবি জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মধ্যরাতে হামলার পর পরই টুইটে এই দাবি করেন অভিষেক। পাল্টা টুইটে আরজি করে হামলার ঘটনার জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।