শেষ আপডেট: 16th April 2025 23:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুধবার আরজি করে (RG Kar Doctor Death) ফের একবার কনভেনশন (Convention) করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই কনভেনশন থেকে ফের লড়াইয়ের ডাক যেমন দিয়েছেন, ঠিক তেমনই কনভেনশনের মাধ্যমে সব খরচের হিসেব দিয়েছেন অনিকেত, কিঞ্জলরা।
আরজি করের এই আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছিল যে, তাঁরা নির্যাতিতার নাম করে কোটি কোটি টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন। জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের পাল্টা যে চিকিৎসক সংগঠন জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন তৈরি হয়েছিল তারাই মূলত এই অভিযোগ করেছিল। পরে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়। বুধবার তারই কার্যত 'জবাব' দিলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা।
দেবাশিসরা জানিয়েছেন, তাঁরা রাজ্যজুড়ে যে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তাতে সাড়ে তিন কোটি টাকার বেশি অনুদান পেয়েছেন। আর তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। প্রায় দু’কোটি টাকা হাতে রয়েছে। কোথায় কী পরিমাণ খরচ হয়েছে, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাঁরা। জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। যদিও তাঁদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে ওয়েবসাইটে কাজ চলছে। বুধবার সেই ওয়েবসাইট 'লাইভ' করা হয়। তাতেই খরচের যাবতীয় হিসেব দেওয়া হয়েছে।
জুনিয়র ডাক্তারদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তাঁরা মোট ২ কোটি ২৬ লক্ষ ১৯ হাজার ১৩ টাকা অনুদান পেয়েছে। এখনও পর্যন্ত খরচ করেছে ৩১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩৩৪ টাকা। আর তারপরও বেঁচে আছে ১ কোটি ৯৪ লক্ষ ৪২ হাজার ৬০৪ টাকা। অনশন মঞ্চ থেকে শুরু করে আইনজীবীদের জন্য খরচ, ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ তৈরি, অভয়া ক্লিনিক, মিছিল, সমাবেশ... সবকিছুতে যা যা খরচ হয়েছে তার হিসেব দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
এখনও যে টাকা বাকি রয়েছে তা দিয়ে কী করা হবে সেটা এখনও ভাবেননি জুনিয়র ডাক্তাররা। শুধু জানিয়েছেন, অভয়া ক্লিনিক করার কথা ভাবা হয়েছে। আর আইনি লড়াই এখনও চলছে, তার জন্য তো খরচ হবেই। পরবর্তী ক্ষেত্রে কী করা যায় তার জন্য সকলের কাছে পরামর্শ চাওয়া হবে।
এতগুলি মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরে যখন মানুষের মধ্যে সংশয় দানা বাঁধছিল যে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনের পথ থেকে সরে যাচ্ছেন, ঠিক সেই সময়ই ফের কনভেনশন করলেন অনিকেত, দেবাশিস, কিঞ্জলরা। আরজি কর হাসপাতালেই সেই কনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছিল। হলফ করে বলা যায়, এই কনভেনশন মানুষের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার করবে।