শেষ আপডেট: 26th October 2024 23:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আমরণ অনশন শুরু করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শেষবারের বৈঠকের পর তা তুলে নেন। যদিও ডাক্তারদের বক্তব্য ছিল, নির্যাতিতার বাবা-মার কথায় তাঁরা অনশন থেকে সরে এসেছেন। তবে আন্দোলন কোনও মতেই থামবে না। সেই প্রেক্ষিতেই শনিবার আরজি করেই গণকনভেনশনের ডাক দিয়েছিলেন অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদাররা। সেই কর্মসূচির পর মশাল-মিছিল করলেন তাঁরা।
জুনিয়র ডাক্তারদের শনিবারের এই কর্মসূচিতে চিকিৎসক ছাড়াও উপস্থিত ছিল নাগরিক সমাজের একটা বড় অংশ। আমজনতা যেমন ছিলেন, তেমনই দেখা যায় বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের। ছিলেন চৈতি ঘোষাল, দেবলীনাদের মতো অভিনেত্রীরা। কনভেনশনে যোগ দেওয়ার পর তাঁরা মিছিলেও হাঁটেন। সকলে মশাল ও মোমবাতি নিয়ে আরজি কর হাসপাতাল প্রদক্ষিণ করে মিছিল করে প্রতিবাদের বার্তা তুলে ধরেন সমাজের কাছে। এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন অনিকেত, দেবাশিসের মতো জুনিয়র ডাক্তাররাই।
ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট শনিবারের গণকনভেনশনে পরিষ্কার করে জানায়, লড়াই থেকে কোনওভাবেই পিছিয়ে যাবেন না তাঁরা। আন্দোলনের অন্যতম মুখ অনিকেত মাহাতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটের কথা উল্লেখ করে বলেন, কেন শুধুমাত্র সঞ্জয় রায়কেই দোষী প্রমাণের চেষ্টা করা হচ্ছে? তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে বাঁচানোর জন্য রাজ্য প্রশাসন কেন উঠেপড়ে লেগেছে? এর পিছনে কী উদ্দেশ্য রয়েছে, কেন এমন নারকীয় ঘটনা ঘটল তা জানতে চাই।
জুনিয়র ডাক্তার কিঞ্জল নন্দ বলেন, চার বছর ধরে আরজি করে যে নারকীয়, অরাজকতার পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। গণতান্ত্রিক কোনও পরিবেশ ছিল না। আজকের অনুষ্ঠানে যে সমস্ত প্রাক্তনীরা এসেছেন সবাই এটা জানেন। বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক। আমরা সুবিচারের দাবিতে যা করার সবটাই করব। অন্যদিকে, দেবাশিস হালদারের বক্তব্য ছিল, প্রতিবাদের ভাষা ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের কাছে উৎসব। আমরা উৎসবের মঞ্চ হিসাবে ধর্মতলাকেই বেছে নিয়েছিলাম। তাই সুবিচারের দাবি থেকে নজর সরানোর কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের বিরুদ্ধে পাল্টা সংগঠন গড়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদেরই একাংশ। সেই ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে শনিবার দাবি করা হয়, নির্যাতিতার বিচারের নামে ৪.৭৫ কোটি টাকা তুলেছেন অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদার, কিঞ্জল নন্দরা। তাঁদের এই দাবিতে হইচই শুরু হয়েছে।
তাঁদের বিরুদ্ধে যা অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি ডক্টরস ফ্রন্টসের অন্যতম মুখ অনিকেত, কিঞ্জলরা। তাঁদের শুধু বক্তব্য, গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ সংগঠন খুলে তাঁদের কথা বলতেই পারে। তবে কী উদ্দেশে, কারা এই সংগঠন খুলছে তা দেখা প্রয়োজন।