শেষ আপডেট: 25th October 2024 08:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে অনশন তুলে নিলেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাই বলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শনিবার গণকনভেনশনের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। সেখান থেকেই নতুন কর্মসূচির ঘোষণা হতে পারে। তার আগে ফের রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি পাঠাল 'ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট'। সেই চিঠিতে ৬টি 'পরামর্শ' দেওয়া হয়েছে তাঁদের তরফে।
বৃহস্পতিবার রাতে নবান্নেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সহ সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে যখন আলোচনা চলছে, সেই সময়ই জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে এই মেল গেছে। এবার রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য কিছু 'পরামর্শ' দিয়েছেন তাঁরা। সেগুলি যাতে দ্রুত কার্যকর করা যায়, সেই আর্জি জানানো হয়েছে।
মোট ছ’টি বিষয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, এক মাসের মধ্যে ‘রেফারেল’ পদ্ধতি সঠিকভাবে চালু করার দাবি জানানো হয়েছে। ডাক্তাররা বলছেন, কত শয্যা খালি রয়েছে তার বাস্তব তথ্য না থাকলে এই সিস্টেম কার্যকরী হওয়া সম্ভব নয়। দ্বিতীয়ত, বেড নিয়ে দুর্নীতি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। যত দ্রুত সম্ভব এই বিষয়টির ওপর যাতে সরকার নজর দেয় সেই আর্জি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে, প্রতি ঘণ্টায় সমস্ত সরকারি হাসপাতালে খালি শয্যার সংখ্যা জানার দাবি তাঁদের।
জুনিয়র ডাক্তারদের তৃতীয় দাবি, হাসপাতালগুলির ধারণ ক্ষমতা যাচাই করে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা। চতুর্থত, কেন্দ্রীয় ‘রেফারেল’ পদ্ধতির সমস্ত খামতি পূরণ করার দাবি জানানো হয়েছে। মূলত দুটি সমস্যার কথা বলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এক, রেফার করা হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যা রয়েছে কিনা। দুই, রেফার করা রোগীদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামো, ওষুধ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেই হাসপাতালে আছে কিনা। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, কোনও রোগীকে কোনও হাসপাতালে 'রেফার' করার আগে এই দুটি বিষয়ই যাচাই করতে হবে।
এছাড়া জুনিয়র ডাক্তাররা রেফার ব্যবস্থায় সরকারি নথি তৈরির জন্য পৃথক ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ চান। আর রেফার করা হাসপাতালে কোনও পরিষেবা উপলব্ধ না হলে কোথায় সেই পরিষেবা পাওয়া যেতে পারে সেই সংক্রান্ত তথ্য যেন সাধারণ মানুষ হাতের মুঠোয় পেতে পারেন, সেই বিষয়টির নিশ্চয়তা চান। এক কথায়, রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলির পরিষেবার উন্নতি কীভাবে হতে পারে, তারই একটি রূপরেখা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।