শেষ আপডেট: 4th November 2024 19:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার ৮৭ দিন এবং সিবিআইয়ের চার্জশিট পেশ করার ২৮ দিনের মাথায় সোমবার ধৃত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ১১ নভেম্বর থেকে শুরু হবে বিচার প্রক্রিয়া। তবে এদিনই মারাত্মক দাবি করেছে সঞ্জয়। আদালতের চার দেওয়ালের মাঝে নয়, সংবাদমাধ্যমের সামনে চিৎকার করে বলেছে, 'আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমাকে ডিপার্টমেন্ট চুপ থাকতে বলেছে। সরকার আমাকে ফাঁসাচ্ছে।' এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তার কিঞ্জল নন্দ। তাঁর স্পষ্ট কথা, যদি এমনটাই হয় তাহলে তাকে কারা ফাঁসাচ্ছে সেটা সামনে আনতেই হবে।
সঞ্জয় রায় দাবি করেছে, যে ধর্ষণ-খুন কিছুই করেনি। তাকে ভয় দেখিয়ে রাখা হয়েছে। কিছু বলতে বারণ করা হয়েছিল! সরাসরি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেছে সে। এই ইস্যুতে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফে কিঞ্জল নন্দ বলেন, ''যে ঘটনা ঘটেছে তা একজনের পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয়। তাহলে সিবিআই এতদিন ধরে কী করছে? কেন তাঁরা বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে না? সিবিআই চার্জশিটেই সঞ্জয় রায় ছাড়া কারও নাম নেই। বিষয়টি শুধু আমাদের নয়, সাধারণ মানুষকেও ভাবাচ্ছে।''
'ফাঁসানো হচ্ছে!' সঞ্জয় রায়ের এমন দাবির প্রেক্ষিতে কিঞ্জলের বক্তব্য, ''তাকে কে ফাঁসিয়েছে, কেন ফাঁসানো হচ্ছে, এই পুরো ঘটনার মোটিভ কী, সেটা দ্রুত সিবিআই-এর সামনে আনা উচিত।'' দ্রুত তদন্ত করে সিবিআই এইসব বিষয়গুলি সামনে নিয়ে আসুক, এই আর্জিই জানিয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন।
গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের চারতলার সেমিনার হলে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার হয়েছিল সঞ্জয় রায়। এই সিভিক ভলেন্টিয়ার ছাড়া আর কেউ এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়নি। কলকাতা পুলিশের এই গ্রেফতারিতেই সিলমোহর দিয়েছে সিবিআই। তবে সোমবার যে দাবি সঞ্জয় করেছে তাতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে স্বাভাবিকভাবেই। এ ব্যাপারে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, ''আমি আগে থেকেই বলেছিলাম, একজন সিভিক ভলান্টিয়ার হাসাপাতালের চিকিৎসককে এভাবে গিয়ে ধর্ষণ বা খুন করতে পারেন না।''
বিকাশরঞ্জন সাফ বলেন, সিবিআই যদি ঠিক ঠিক তদন্ত করে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে তাহলে এই সমস্ত বিষয় তদন্তের আওতায় আনা উচিত। সঞ্জয়ের বক্তব্যকে হালকা চালে উড়িয়ে দিলে চলবে না। সঞ্জয় হচ্ছে দাবার বোড়ে। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছে।