শেষ আপডেট: 20th January 2025 16:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আজ বিকেল পৌনে তিনটে নাগাদ আরজি কর মামলায় যখন সাজা ঘোষণা (RG Kar Case Verdict) করছেন বিচারপতি অনির্বাণ দাস, তখন বাইরে রাস্তায় তুমুল স্লোগান উঠছে—ধর্ষকের ফাঁসি চাই। কিন্তু রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বিচারক অনির্বাণ দাস জানালেন, সঞ্জয় রায়য়ের অপরাধ 'বিরলতম' নয়। তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিচ্ছে আদালত।
দোষীর শাস্তির দাবিতে প্রথম থেকে সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে এসেছেন সাধারণ মানুষ। কর্মবিরতি, অবস্থান বিক্ষোভ, অনশন করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই আন্দোলনের যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, সেই জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে অন্যতম মুখ কিঞ্জল নন্দ। আজ শিয়ালদহে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয়কে সাজা শোনানোর পরই হতাশ হয়ে পড়েছেন তিনি।
নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে ডাক্তার-অভিনেতা কিঞ্জল লিখলেন, 'হতাশ লাগছে তো? লাগুক, হতাশ হওয়াটা দরকার... কারণ সত্যি বলে সত্যিই কিছু নেই।' আর এই পোস্টের পরপরই চর্চা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ বলছেন, 'বৃহত্তর বৃত্ত, প্রেডিকশন মিলে গেছে। নেক্সট সঞ্জয় রায় জেলে আত্মঘাতী হবে', 'অবাক হওয়ার কিছু নেই, এমনটাই হওয়ার ছিল। বরং না হলে অবাক হতাম।'
গত বছরের ৯ অগস্ট। কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Rape and Murder Case) নারকীয় ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছিল। ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল হাসপাতালেরই তরুণী চিকিৎসককে। আদালতের নির্দেশে তদন্তভার গ্রহণ করেছিল সিবিআই।
সিবিআই প্রথম থেকেই অভিষুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারের ফাঁসির আবেদন করেছিল। চার্জশিটেও তাঁকে একা দোষী হিসেবে দাবি করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ) ধারা, ৬৬ ধারা (ধর্ষণের এমন আঘাত করা, যে কারণে মৃত্যু হতে পারে) এবং ১০৩ (১) ধারায় (খুন) তথ্য প্রমাণ এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে বিরলতম অপরাধ নয় এই যুক্তিতে সঞ্জয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।