জুনিয়র চিকিৎসক সৌম্যদীপ রায়।
শেষ আপডেট: 15th August 2024 21:47
প্রিয়ঙ্কা পাত্র
বুধবার রাতের আতঙ্ক এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে আন্দোলনকারী ডাক্তারি পড়ুয়া, জুনিয়র চিকিৎসক ও নার্সদের চোখে মুখে। অভিযোগ, হামলার সময় পুলিশ পালিয়ে গিয়েছিল! উল্টো দিকে লোহার রড, লাঠি হাতে একদল উন্মত্ত মানুষ! সেই রাতে কীভাবে নিজেদের প্রাণ বাঁচিয়েছেন, বলতে গিয়ে এখনও বারে বারে শিউরে উঠছেন তাঁরা।
তাঁদেরই অন্যতম জুনিয়র চিকিৎসক সৌম্যদীপ রায়। পুলিশ ও আরজি কর কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে বললেন, "কীসের পুলিশ! হামলাকারীদের দেখে পুলিশ তো পালিয়ে গিয়েছিল! ৩০ মিনিট আমাদেরই লড়াই করে নিজেদের প্রাণ রক্ষা করতে হয়েছে।"
বলছিলেন, "উই ওয়ান্ট জাস্টিস বলতে বলতে ভাঙচুর চালাল, একম দেখেছেন কখনও? বারমুডা পড়ে এসেছিল একদল মানুষ, হাতে লোহার রড! ডিসি নর্থকে একাধিকবার ফোন করা হয়েছে, তিনি ফোন ধরেননি। আর মিছিল তো শ্যামবাজারের দিকে এগোবে, তা না করে হাসপাতালের সামনে থামল কেন? ভিড় বাড়ছে। তখনই সন্দেহ হয়। বারবার পুলিশকে বলেছি, বলে লাঠিচার্জ করার অর্ডার নেই। তারপরই হামলা।"
আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে দোষীর কঠোর শাস্তি ও নিরাপত্তার দাবিতে বুধবার মধ্যরাতে পথে নেমেছিল নাগরিক সমাজ। শহর কলকাতা থেকে জেলা, সর্বত্রই হয় প্রতিবাদ মিছিল। বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ আচমকা হামলার ঘটনা ঘটে আরজি করে।
একরাশ ক্ষোভ উগড়ে সৌম্যদীপ বলেন, "আমরা কি জঙ্গি? ৬দিন না খেয়ে সহপাঠীর বিচার চাইছি। এটাই কি আমাদের অপরাধ! ৩৬ ঘণ্টা ডিউটি দেওয়ার পর একজন মহিলা ডাক্তারকে রেপ হতে হয়, তারপরও অপরাধীরা দাপিয়ে বেড়ায়! হাসপাতালে এসে হামলা চালিয়ে ফিরে যাওয়ার সময়, আমাদের কয়েকজনের নাম ধরে ধরে খুঁজছিল। বলছিল, খুব বাড় বেড়েছিস। দেখে নেব। এমনকী সিস্টারদের বলছে, এআবার রেপ করব! বলুন, তাহলে আমরা কীভাবে কাজ করব?"
বুধবার হামলার ঘটনার পর ঘটনাস্থলে এসেছিলেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। ডাক্তারি পড়ুয়াদের অভিযোগ, "তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি পুলিশ কমিশনার। নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা করেনি। অধ্যক্ষও দেখা করছে না। আমরা তাহলে থাকব কী করে।"