শেষ আপডেট: 9th September 2024 23:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর হাসপাতালে আবার ভাঙচুরের ঘটনা! অভিযোগ করলেন এক জুনিয়র ডাক্তার। হাসপাতালের ছাত্র হস্টেলে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ইস্যুতে টালা থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ইতিমধ্যে। পুলিশ তদন্তও শুরু করেছে।
গত ১৪ অগস্ট ‘মেয়েদের রাত দখল’ কর্মসূচির রাতে আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ-সহ একাধিক জায়গায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল। এরপর সুপ্রিম কোর্ট হাসপাতালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেয়। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত সিআইএসএফ আরজি করের নিরাপত্তায় রয়েছে। তারপরও এই হামলার ঘটনা কী ভাবে ঘটল তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এক চিকিৎসক-পড়ুয়ার অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁরা তদন্ত শুরু করেছেন। আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, যে বা যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাঁদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। প্রসঙ্গত, ২২ অগস্ট থেকে আরজি করের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয় দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। এই সংখ্যক বাহিনী হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত বলেই জানানো হয়েছিল বাহিনীর তরফে। কিন্তু এখন এই হামলার ঘটনার ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না।
অভিযোগকারী দ্য ওয়াল-কে জানিয়েছে, বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তিনি যুক্ত তাই সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে। তাঁর হস্টেল রুমের তালা ভাঙা হয়েছে। ভিতরেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। যারা এই কাজ করেছে তাঁদের সঙ্গে আরজি করের কোনও সম্পর্ক নেই। ওরা বহিরাগত বলেই দাবি করেছেন তিনি।
এদিকে সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবাদী ডাক্তারদের কাজে ফেরার স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়ে দেন, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে জুনিয়র তথা রেসিডেন্ট ডাক্তাররা কাজে যোগ দিলে রাজ্য সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না। কিন্তু তার মধ্যে ডাক্তাররা কাজে যোগ না দিলে সরকার শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য ব্যবস্থা নিতেই পারে। সেই অধিকার সরকারের রয়েছে। প্রধান বিচারপতি মনে করিয়ে দেন, ডাক্তাররা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করতে পারে না। সর্বোচ্চ আদালত তা সমর্থন করবে না। ডাক্তারদের কাজ রোগীদের পরিষেবা দেওয়া।