শেষ আপডেট: 1st November 2024 15:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পড়তে বসতে হবে, নাহলে যে অনেকটা পিছিয়ে পড়তে হবে! জীবনের পথ থেকেও, আন্দোলনের অভিমুখ থেকেও। তাই কিছুদিন দেখা মিলবে না তাঁদের কয়েকজনের। সোশ্যাল মিডিয়ার বার্তায় এ কথাই জানালেন আরজি কর কাণ্ডের আন্দোলনের অন্যতম প্রতিবাদী মুখ আসফাকুল্লা নাইয়া। তবে যে লড়াই তাঁরা শুরু করেছেন তা যে শ্লথ হয়ে পড়বে না, এটাও স্পষ্টত জানিয়েছেন তিনি।
গত ৩ মাস ধরে অন্য কলকাতাকে দেখা গেছে এই জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য। ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছিল তারপর থেকে তাঁরা রাস্তায়। ক্রমাগত লড়াই করে চলেছে একটা গোটা সিস্টেমের বিরুদ্ধে। দফায় দফায় সরকারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, সুরাহা মেলেনি। পথে নেমে হেঁটেছেন, ধর্না করেছেন, লালবাজার, স্বাস্থ্যভবন, নবান্ন অভিযান করেছেন, সবশেষে আমরণ অনশন... কিন্তু থামানো যায়নি তাঁদের। তবে এবার অল্প কয়েকদিনের জন্য প্রতিবাদের লাইনের সামনের সারি থেকে সরে আসছেন মাত্র কয়েকজন। কারণ পরীক্ষা আসছে, পড়তে হবে।
আসফাকুল্লা তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ''সামনে এমএস/এমডি পরীক্ষা। আমাদের কয়েকজনকে পড়াশোনা করতে বসে পড়তে হল। হয়তো বেশ কয়েকজনকে বেশ কয়েকদিন দেখতে পাবেন না কিন্তু আন্দোলন চলছে এবং চলবে এটা ভুলে যাবেন না। যাদের পরীক্ষা এখনই নেই তারা এবং আপনারা মিলে এ যুদ্ধ এগিয়ে নিয়ে যাবেন আশা রেখে পড়তে বসলাম।'' জুনিয়র ডাক্তারের কথায়, সঠিক শিক্ষা না থাকলে সঠিক প্রতিবাদ করা যায় না।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই বৈঠকের পর কিছু দাবি সরকারের কাছে মান্যতা পেলেও অনেক দাবিই পায়নি। তবে হাল না ছেড়ে আন্দোলনের আরও ঝাঁজ বাড়িয়ে 'দ্রোহ কার্নিভাল' থেকে শুরু করে অনশন সবকিছু করেছেন ডাক্তাররা। এই সময়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের আন্দোলন বা অনশন থেকে সরে আসার বার্তা দিয়েছিলেন। মনে করিয়ে দিয়েছিলেন তাঁদের পরীক্ষার কথা। কিন্তু ডাক্তাররা তখন নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসেননি। এখন কয়েকজন আন্দোলনে অনড় থাকলেও পরীক্ষার জন্য আগামী কয়েকদিন প্রত্যক্ষভাবে প্রতিবাদে থাকতে পারবেন না।
আসফাকুল্লা সোশ্যাল পোস্টে এও উল্লেখ করেছেন, অনেকে তাঁদের নিয়ে অনেক ব্যঙ্গ, তামাশা করেছেন। কিন্তু তাঁরা তাতে পাত্তা দেননি। অনেকে অনেক বড় বড় অভিযোগও এনেছেন, তাঁরা গুরুত্ব দেননি। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, কোনও চেয়ারের ভয়ে কেউ তাঁদের বিচারের পথ থেকে নড়াতে পারেনি, পারবে না। কিন্তু সামনে যেহেতু পরীক্ষা এবং তাতে ভাল ফল করে বিচারের দাবিকেই আরও জোরাল করতে হবে, সেই কারণে কয়েকজন কিছুদিনের জন্য কার্যত আন্দোলনের পথ থেকে একটু সরছেন। পরীক্ষা মিটলেই ফের গর্জে উঠবেন তাঁরা।