শেষ আপডেট: 10th January 2025 15:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এসএসসি-র (SSC Teacher Death) ২৬ হাজার চাকরিজীবীর ভবিষ্যৎ কী? আদৌ কি যোগ্য-অযোগ্য তালিকা আলাদা করা যাবে? নাকি ২০১ সালের পুরো প্যানেলটাই বাতিল করে দেওয়া হবে সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। তাকিয়ে ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপের মহেন্দ্রগঞ্জ হাইস্কুলে ভৌতবিজ্ঞানের শিক্ষক প্রশান্ত দাসও। কিন্তু তাঁর চাকরি থাকল কিনা আর জানা হল না। পরবর্তী শুনানির (SSC Hearing) আগেই মারা গেলেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় প্রশান্তর চিন্তা আরও বেড়ে গিয়েছিল বলে দাবি আন্দোলনরত অন্যান্য শিক্ষকদের। শুরুর দিন থেকে প্রশান্ত দাবি করে এসেছেন, প্যানেল থেকে কেবল অযোগ্যদের বাদ দিতে হবে, যোগ্যদের চাকরি বহাল রাখতে হবে।
গত ২ জানুয়ারি যে বিকাশ ভবন অভিযান হয়েছিল তাতেও অংশ নিয়েছিলেন প্রশান্ত দাস। অভিযানের পরে বাড়ি ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি তমলুকের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বুধবার দুপুরে মৃত্যুর খবর আসে। আন্দোলনরত অন্যান্য শিক্ষকদের বক্তব্য, প্রশান্তই একমাত্র বাড়ির রোজগেরে। তাঁর মৃত্যুর পর যদি চাকরিও বাতিল হয়ে যায়, তাহলে অথৈ জলে পড়বে গোটা পরিবার।
প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি চাকরি বাতিল মামলার শুনানি মুলতুবি হয়ে যায়। জানানো হয় পরবর্তী শুনানি ১৫ জানুয়ারি দুপুর ২টোয় হবে।
ওই দিন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে প্রথমেই উঠেছিল এসএসসি মামলা। তবে আরও কিছু তথ্য জমার প্রয়োজন রয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতির সঞ্জীব খান্নার। নির্দেশ দেন, ওই দিনই সিবিআইকে মামলার রিপোর্ট জমা দিতে হবে। আর সব পক্ষ হলফনামা জমা দেবে ১৫ তারিখের মধ্যে।
এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলাটির শেষ শুনানিতে শীর্ষ আদালত মূলত যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের বাছাই করার উপরে জোর দিয়েছিল।
প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলেন, কলকাতা হাই কোর্টের রায় বহাল রেখে ২০১৬ সালের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করা হবে, না কি যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের আলাদা করা তা বিবেচনা করা হবে। তিনি মন্তব্য করে বলেছিলেন, 'যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা না-গেলে পুরো প্যানেল বাতিল বাতিল করতে হবে।'
গত শুনানিতে প্রধান বিচারপতি রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, যোগ্য এবং অযোগ্য বাছাইয়ে তাদের সম্পত্তি রয়েছে কি না।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এর আগেই সিবিআই চাকরিহারাদের মধ্যে যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাইয়ের কাজ শুরু করে। সিবিআই সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ২৫ হাজারের বেশি চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাইপর্ব হয়ে গেছে।
ব্যক্তিগতভাবে প্রার্থীদের সাক্ষাৎপর্ব ও তথ্য সংগ্রহের কাজও প্রায় শেষ করে এনেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে নবম থেকে দ্বাদশের শিক্ষক ও গ্রুপ বি, সি-তে কতজনকে নিয়োগ করা হয়েছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য আদালতে জমা দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এখন কোন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয় তার খানিকটা আভাস পাওয়া যাবে আগামী ১৫ জানুয়ারি।