শেষ আপডেট: 28th September 2024 15:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ওএসডি কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এই ইস্যুতে অভিষেকের অফিস থেকেই থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের অন্দরে শুদ্ধিকরণ চাইলেন দলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে শুরু করে সাংসদ পদ সবই ছেড়েছেন জহর। তবে শুধু আরজি কর ইস্যুর জন্য এই পদক্ষেপ নেননি তিনি। তার সঙ্গে ছিল দুর্নীতি সহ আরও একাধিক অভিযোগ। এখন যখন দুর্নীতির ইস্যুতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিম কার্যত সম্মুখসমরে চলে এসেছেন সে সময়ে মুখ খুলেছেন জহর সরকারও। তাঁর মন্তব্যে চাপা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ যেমন ঘটেছে, আগামী দিনে তৃণমূল কীভাবে নিজেদের ভাবমূর্তি ঠিক করতে পারে, তার ইঙ্গিতও মিলেছে।
জহর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ''আমি যখন দুর্নীতি নিয়ে কথা বলি তখন সেই কথা তৃণমূলের পছন্দ হত না। দলের শুদ্ধিকরণ করুন দয়া করে।'' নিজে ইস্তফা দেওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন জহর সরকার। সেখানে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভের প্রসঙ্গ যেমন তুলেছিলেন, তেমনই সরকারের প্রতি ক্ষোভ এবং অনাস্থার কথাও উল্লেখ করেছিলেন। এখন তৃণমূলের দুই বড় নেতার এমনভাবে দুর্নীতি ইস্যুতে প্রকাশ্যে বিরোধ নিয়ে কার্যত সতর্কবার্তা দিলেন জহর সরকার।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে যে অভিযোগ করা হয়েছে তার যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম তাতেই শোরগোল পড়েছে। ববি বলেছেন, “আমার ওএসডি-র বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ, তা তো আমাকেই বলা যেতে পারত। থানায় অভিযোগের কী দরকার ছিল? আমি জানলে তো আমি নিজেই বিভাগীয় তদন্ত করতাম।' অনেকে মনে করছেন, পুরমন্ত্রী তথা মেয়রের এ কথা সেল্ফ গোল তথা আত্মঘাতী গোল। এর থেকে এই মানেই দাঁড়ায় যে ববি বলতে চাইছেন, অভিষেক পুলিশের কাছে গেলেন কেন? মেয়রকেই বলতে পারেন। উনি ব্যবস্থা নিতেন!
কেউ আবার বলছেন, মেয়রের এ কথা থেকে মনে হচ্ছে তিনি ব্যাপারটা ঘরোয়া ভাবে মিটিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। তা ছাড়া একজন সাংসদের নাম করে টাকা তোলা হল ফৌজদারি অপরাধ। সেই অপরাধের তদন্ত কি পুরসভা করতে পারে? তা তো পুলিশই করতে পারে। তাই মেয়র বলতেই পারতেন, পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়ে ভালই হয়েছে। কিন্তু সে কথা তিনি বলেননি। তাই তাঁর মন্তব্য নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।