শেষ আপডেট: 15th August 2024 07:56
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মহিলারা রাত দখল করার ডাক দিয়েছিলেন। বুধবার মধ্যরাতে শান্তিপূর্ণ সেই কর্মসূচি বদলে গেল তাণ্ডবলীলায়। একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায় আরজি কর হাসপাতালেই। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে কার্যত ভেঙে তছনছ করে দেয় জরুরি বিভাগ। এই হামলার ঘটনায় লক্ষাধিক টাকার ওষুধ নষ্ট হয়েছে বলেই দাবি। পাশাপাশি আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের মারধর করার অভিযোগও উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই দাবি করেছেন, হামলাকারীরা হাসপাতালে ঢুকেই আগে জরুরি বিভাগে হামলা করে। টেবিল, চেয়ার থেকে শুরু করে যাবতীয় আসবাব ভেঙে দেওয়া হয়। হামলার পরে দেখা যায় সর্বত্র কাচের টুকরো পড়ে আছে। যদিও জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল ভাঙচুর হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। ওই ঘর থেকেই মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল গত শুক্রবার। তবে এই ঘটনায় ওয়ার্ড ও নার্সিং স্টেশনে রাখা দামী প্রচুর ওষুধপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। একই সঙ্গে চিকিৎসা সরঞ্জাম, রোগীদের বেড কিছুই ছাড়েনি দুষ্কৃতীরা।
শুধু হাসপাতালের ভিতরে নয়, বাইরেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। একাধিক পুলিশের গাড়িতে, হাসপাতালের বাইরের পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করা হয়। একাধিকজন পুলিশ কর্মীও এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে খবর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। নামানো হয় ব়্যাফও। তবে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের দাবি, পুলিশ নিজেদের বাঁচাতেই হাসপাতালের ভিতরে কোথাও কোথাও লুকিয়ে পড়ে। আর দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢুকে গিয়ে তাঁদের তো বটেই, রোগীর পরিবারদের, মহিলা কর্মীদেরও মারধর করে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসকরা।
রাতেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আরজি করে আসেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তিনি স্পষ্ট বলেন, "হামলাকারীদের কাউকে ছাড়া হবে না। যারা হামলা করেছে তাদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করা হবে।" কমিশনার এও বলেন, "হামলাকারীদের কাউকে ছাড়া হবে না। যারা হামলা করেছে তাদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করা হবে।" রাতের পরিস্থিতির জন্য মিডিয়ার একাংশকেও দায়ী করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। তাঁর কথায়, "পুলিশ প্রথম থেকেই আরজি করের ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করেছে। তা সত্ত্বেও মিডিয়ার একাংশ যেভাবে অতি সক্রিয় হয়ে ভুল প্রচার করে, তাতেই এদিনের পরিস্থিতি।"