ভিক্টোরিয়ায় কী ঘটল বৃহস্পতিবার সকালে।
শেষ আপডেট: 21 November 2024 09:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সাত সকালে হুলস্থুল কাণ্ড ভিক্টোরিয়ায়! আর্মি, নেভি, সিআইএসএফ-জংলি ছাপে ঢেকে গেল এলাকা।
শীতের সকালে অনেকেই এই মনোরম চত্বরে প্রাতঃভ্রমণ করেন। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, জঙ্গিরা নাকি এক প্রাতঃভ্রমণকারীকে বন্দি করে ফেলেছে। তাকে উদ্ধারেই এসেছে সেনা বাহিনী।
ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৯টা। ততক্ষণে ভিক্টোরিয়া চত্বর ঘিরে ফেলেছেন জওয়ানরা। শুধুই ভারী বুটের শব্দ! যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব।
সাত সকালে এমন খবর শুনে অনেকেই পড়ি মরি করে এলাকা ছেড়ে দৌড়লেন। কয়েকজন কৌতূহলী অবশ্য রয়ে গেলেন, দূর থেকে ঘাপটি মেরে সেনা-জঙ্গির মুখোমুখি লড়াইয়ের 'লাইভ' দেখবেন বলে!
রুদ্ধশ্বাস মুহূর্ত যাকে বলে আর কি! সাপের মতো সন্তর্পণে মাটি কামড়ে সাউথ গেট দিয়ে ভিক্টোরিয়ার মাঠে ঢুকল সেনা! বাইরে পজিশনে সিআইএসএফ। ভেতর থেকে ওয়াকিটকির মাধ্যমে সেনা খবর পাঠাল, ভিতরে এক ভিআইপি প্রাত:ভ্রমণকারীকে ঘিরে ফেলেছে ৮ জঙ্গি! কয়েক মিনিটের মধ্যে শুরু হল অপারেশন।
সাড়ে ৯টা থেকে ১০ টা, টানা ৩০ মিনিট ধরে চলল অপারেশন। দূর থেকে দেখা যাচ্ছিল, ভিক্টোরিয়ার শ্বেত পাথরের মূর্তির আড়ালে দু'জন জঙ্গি এমনভাবে লুকিয়ে আছেন, যে সেখানে পৌঁছতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছিল জওয়ানদের। আগেই ৬জন জঙ্গিকে পাকড়াও করেছিলেন জওয়ানরা। পরে বাকি দু'জনকে কব্জায় নিতেই অপারেশন শেষ। হাফ ছেড়ে বাঁচলেন সেনা কর্তারা। অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হল প্রাতঃভ্রমণকারীকে।
সেনা প্রহরায় থাকা ভিক্টোরিয়ার মতো এলাকায় কীভাবে জঙ্গিরা ঢুকে পড়ল?
সেনা কর্তা প্রদীপ অগ্নিহোগ্রী জানালেন, "এটা আসল কোনও জঙ্গিহানার ঘটনা নয়। মক ড্রিল অর্থাৎ নকল অভিযান। হঠাৎ করে জঙ্গি হানা ঘটলে কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়, তার মহড়ার জন্যই এই আয়োজন করা হয়েছিল।"