শেষ আপডেট: 25th October 2024 18:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অতীতে একাধিক ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল কলকাতায়। দানাকে ঘিরেও সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল প্রশাসন। তবে সেই অর্থে ঘূর্ণিঝড় দানার ঝাপটা বিশেষ কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি শহর কলকাতার তবে।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি এখনও হচ্ছে শহরের বিভিন্ন এলাকায়। পরিস্থিতি যা তাতে আগামীকাল শনিবারও বৃষ্টি অব্যাহত থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর।
শহরজুড়ে জল থইথই হাল! আলিপুর আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার ভোর ৪টে থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত কলকাতায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির নিরিখে শীর্ষে রয়েছে যোধপুর পার্ক। ১০ ঘণ্টায় এখানে মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ, ১৪১ মিলিমিটার।
তবে ২টোর পরে কিছুক্ষণ বৃষ্টি থামলেও ফের বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে শহরের বিভিন্ন এলাকায়। যার জেরে কলকাতার এসএসসকেএম মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে প্রবেশের রাস্তাও এদিন জলমগ্ন দেখা গিয়েছে। তথৈবচ হাল শহরের বিভিন্ন এলাকা। তবে শহরবাসীর মতে, আগের মতো সারাদিন ধরে জল জমে থাকে না। পুরসভার পক্ষ থেকে পাম্পিং মেশিনের সাহায্য জল জমার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা সরিয়ে ফেলা হয়।
শুক্রবার ভোর ৪টে থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত শহরের কোথায় কত পরিমাণ বৃষ্টি হল, একনজরে রইল সেই তালিকা।
মানিকতলা ৮৩ মিলিমিটার, বীরপাড়া ৭০ মিলিমিটার, বেলগাছিয়া ৬৯ মিলিমিটার, ধাপা লক ৭১ মিলিমিটার, তপসিয়া ১০৯ মিলিমিটার, উল্টোডাঙা ৬৯ মিলিমিটার, পালমার ব্রিজ ৯৪ মিলিমিটার, ঠনঠনিয়া ৭৯.৮০ মিলিমিটার, মোমিনপুর ১১১ মিলিমিটার, চেতলা লক ১০৭ মিলিমিটার, যোধপুর পার্ক ১৬৩ মিলিমিটার, কালীঘাট- ১০৫.৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
একইভাবে গড়িয়া ১২৪ মিলিমিটার, সি.পি.টি ক্যানেল ১১০.৪০ মিলিমিটার, দত্তা বাগান ৭৩.৫০ মিলিমিটার, জিনজিরা বাজার ৯৭ মিলিমিটার , বেহালা ফ্লাইং ক্লাব- ৯৬.৩০ মিলিমিটার, কুলিয়া টেংরা- ৭৮.২০ মিলিমিটার, পাগলাডাঙ্গা ৮৪.৬০ মিলিমিটার, চিংড়িঘাটা ৬৯.০০ মিলিমিটার, মার্কাস স্কোয়ার ৫৮.৭০ মিলিমিটার, পাটুলি ১২৯ মিলিমিটার, ট্রেঞ্চিং গ্রাউন্ড ১০৩.৫০ মিলিমিটার, খানখেতি খাল ১০৯ মিলিমিটার এবং জোকায় ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।