শেষ আপডেট: 13th March 2025 12:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুধবার যোগেশ চন্দ্র কলেজ যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য চারু মার্কেট থানার (Charu Market PS) ওসিকে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তাঁকে দ্রুত হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
সরস্বতী পুজোর পর বুধবার ফের একবার উত্তপ্ত হয় যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজ (Jogesh Chandra Chaudhuri College)। এবারও ইস্যু সেই বহিরাগত প্রবেশ। পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, জোর করে তাঁদের রং মাখানো হয়েছে, গায়ে জল দেওয়া হয়েছে। এমনকী ক্যাম্পাসে আসা সাংবাদিক, চিত্র সাংবাদিকদেরও হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। মামলা দায়ের করেন কলেজেরই এক পড়ুয়া।
মামলাকারীর আর্জি ছিল, কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে সিসিটিভি, নিরাপত্তা কর্মী রাখতে হবে। একই সঙ্গে, বহিরাগত প্রবেশ নিয়ে কড়া নির্দেশ দিতে হবে আদালতকে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে শুনানি চলাকালীন স্থানীয় চারু মার্কেট থানার ওসিকে তলব করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, কলেজের ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট পেতেই এই তলব।
বুধবার মূলত কলেজের ডে এবং আইন বিভাগের পড়ুয়াদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। আবির খেলাকে কেন্দ্র করে বচসা শুরু হয়েছিল। এদিকে পরিচালন সমিতির বৈঠকে যোগ দিতে কলেজে গেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মালা রায়। তাঁর সঙ্গে অনেকে ক্যাম্পাসে ঢোকে। তারাই বহিরাগত বলে দাবি পড়ুয়াদের একাংশের। এই পরিপ্রেক্ষিতেই মালা রায়কে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদেরই একাংশ।
গোটা ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়ে যোগেশচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায় বলেন, আজ কোনও দোল উৎসব ছিল না, কলেজে কোনও অনুষ্ঠান ছিল না, বসন্ত উৎসবও ছিল না। কারা এল, কেন এল, কী উদ্দেশ্য ছিল তাদের, সেটা জানা দরকার। তবে যারা এসেছিল তারা গন্ডগোল করার জন্যই এসেছিল। এমনটাই দাবি তাঁর।