শেষ আপডেট: 6th November 2024 16:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কালীপুজোর বিসর্জনকে কেন্দ্র করে নারকেলডাঙা এলাকায় অশান্তির ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে গোষ্ঠী-গোলমালের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য। অ্যাডভোকেট জেনারেলের বক্তব্য, একই গোষ্ঠীর দুই ব্যক্তির মধ্যে গোলমাল হয়েছিল, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কোনও ঝামেলা হয়নি।
নারকেলডাঙার ঘটনায় পুলিশের দাবি ছিল, বাইকের পার্কিং সম্পর্কিত একটি গোলমালকে কেন্দ্র করে দুই ব্যক্তির মধ্যে ঝগড়া হয় এবং তা আরও বাড়তে থাকে। পুলিশ সময়মতো হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই প্রেক্ষিতেই হাইকোর্টের প্রশ্ন, দুই ব্যক্তির মধ্যে ঝামেলা হলে দশ হাজার লোকের ভিড় জমার অভিযোগ উঠছে কেন?
মামলার শুনানিতে আরজি কর প্রসঙ্গও তোলেন প্রধান বিচারপতি। বলেন, আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের দিন দশ হাজার লোক জড়ো হয়েছিল বলে দাবি ওঠে, সে কথা স্বীকার করেনি রাজ্য। সাত হাজার লোক জড়ো হওয়ার কথা স্বীকার করা হয়। কিন্তু প্রশ্ন, আগাম কোনও পরিকল্পনা ছাড়া কী করে এখানেও এত লোক জড়ো হল? আরজি করে কাণ্ডের সময়ে রাজ্য বলেছিল পুলিশ আগাম খবর পায়নি। এক্ষেত্রেও কি তাই, জানতে চেয়েছে আদালত।
এজি জানান, ওই দুজনের একজন হাতাহাতির মধ্যে প্রথমে বাড়ি থেকে তলোয়ার নিয়ে আসে, পরে গুলিও চালায়। তাতে একজন পুলিশ সামান্য জখম হন। ওই গোলমাল থামাতে গিয়ে অন্তত সাত-আট জন পুলিশ মার খেয়েছেন। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৬টা এফআইআর হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, যে কারণেই হোক গোলমাল যে সেদিন হয়েছিল সেটা ঠিক। তাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কী ঘটনা ঘটেছিল রাজ্যকে সেই রিপোর্ট দিতে হবে। তার পাল্টা নিজেদের বক্তব্য জানাবে মামলাকারীও। আগামী ২১ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।