শেষ আপডেট: 3rd September 2024 19:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গত ১৪ অগস্ট রাত দখলের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। সেই রাতেই আরজি কর হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর হয়। সেই ঘটনায় পুলিশ একাধিকজনকে গ্রেফতার করেছিল। তাদের মধ্যে এক তরুণীও ছিল। তবে দাবি করা হয়েছে, ওই তরুণীকে মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। কারণ সে নাকি ঘটনাস্থলেই ছিল না। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে রাজ্যের থেকে রিপোর্ট চেয়েছে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ।
তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় আসল দোষীদের ধরেনি পুলিশ। বরং তাঁদের আড়াল করতে বহু নিরীহ লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তাঁরা। আদালত রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়ে জানতে চেয়েছে, কেন এবং কোন প্রমাণের ভিত্তিতে ওই তরুণীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্যকে। ৬ তারিখ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
১৪ তারিখ রাতের ঘটনায় ৪০ জনের বেশি লোককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দোষীদের ধরার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও দেওয়া হয়। তা নিয়ে অবশ্য কটাক্ষও শুনতে হয়েছিল তাঁদের। এখন এই গ্রেফতারি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেই ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট তো বটেই সুপ্রিম কোর্টও ভর্ৎসনার মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। এরপরই আরজি কর হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-পড়ুয়া ধর্ষণ, খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়। গত ১৪ অগস্ট স্বাধীনতার মধ্যরাতে পথে নেমে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ জানান আমজনতা। সেই রাতেই হাসপাতালে ব্যাপক হামলার ঘটনা ঘটে। ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয় আরজি করের জরুরি বিভাগ, হুমকি দেওয়া হয় নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের। তারপর থেকেই নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে প্রতিবাদ আরও প্রবল হয়ে ওঠে।